তারেক পাঠান নরসিংদী প্রতিনিধি: পলাশের ব্যবসায়ীরা পাটজাত মোড়ক ব্যবহার আইন মানছে না । বাড়ছে প্লাস্টিক বস্তার ব্যবহার। পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন ৬ বছর ধরে প্রণীত হলে ও তার সঠিক প্রয়োগ এখন শুধু কাগজে কলমে। বাজারে মোট ১৭টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন জারি করলেও পলাশের ব্যবসায়িরা তার তোয়াক্কা না করে অবাধে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। এতে করে পলাশের হাট-বাজারে, চালের দোকানে কিছুটা পরির্বতন আসে। যখন অভিযান থেমে যায় আবার ও পলি ব্যাগে ও প্লাস্টিক বস্তায় ছেয়ে যায় পলাশের পুরো হাট-বাজার।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন এ পর্যন্ত অসংখ্যবার মোবাইল কোর্ট দিয়ে বাজারে অভিযান চালিয়ে আইনটি নিশ্চিত করার চেস্টা করে। তবে মাত্র পলাশের বাজারে ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার দেখা যায়। বিগত কয়েক মাস ধরে চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদেশ থেকে চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে পাটের বস্তা ব্যবহারে কিছুটা শিথিলতা করায় বর্তমান বাজারে ঢালাও ভাবে বেড়ে গেছে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার।
সম্প্রতি পলাশ উপজেলার সদর,বিআরডিসি বাজার,পলাশ বাজার,পিডিবির বাজার,ঘোড়াশাল বাজার,ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজার,হাসান স্মৃতি মার্কেট,ডাঙ্গা,পূবালী ফুলেশ্বরী বাজার, চরসিন্দুর, তালতলী , জালকাটি, পারুলীয়া সাধুরবাজার, কালীর হাট, চরনগরদী বাজারসহ উপজেলার সবকটি চাউলের বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চাল বিক্রয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বস্তা,ব্যবহার করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না-করার শর্তে পলাশের এক চালের আড়তদার সাংবাদিকদের জানান,কয়েক মাস আগে বাজারে চালের দাম কমানোর জন্য প্লাস্টিক বস্তা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এ সুবিধা সাধারণ জনগণ মোটে ও প্রায়নি। বরং আমরা যারা চালের পাইকারী ব্যবসায়ী তারা বস্তাপ্রতি দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কম রেখেছি। সেই চাউল খুচরা ব্যবসায়ীরা দামে কম না রেখে বরং প্রতি কেজি চাউলে আগের মূল্যেই বিক্রী করছে। এতে সাধারণ মানুষের লাভের কিছুই হয়নি। বরং চাউলের খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক লাভবান হচ্ছে। মাঝখান থেকে অতিরিক্ত প্লাস্টিক বস্তার ব্যবহারও বেড়ে গেছে।
এই বিষয়ে করণীয় হিসেবে জানতে চাইলে মোটফোনে,পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি সাংবাদিকদের জানান, ত্রই বিষয়ে আমার তেমন জানা নেই । তবে অবশ্যই কিছু দিনের মধ্যে এই অবস্থার পরির্বতন করা হবে বলে আমি আশাবাদী।
উল্লেখ্য যে, ধান,চাউল,গম,ভূট্রা, সার, চিনি,মরিচ,হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল,ধনিয়া,আলু,আটা,ময়দা,ও তুষ-খুদ-কুড়া পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর ১৪ ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করিয়ে কৃত্রিম মোড়ক দ্বারা কোন পণ্য সামগ্রী মোড়কজাতকরণ ,বিক্রয়, বিতরণ, বা সরবরাহ করলে বা করবার অনুমতি প্রদান করলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
এমটি নিউজ/আ শি/প্রতিনিধি