শুক্রবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:৪২:৩৮

পাবনার আমিনুলের টাই পরছেন ক্রিকেটার মাশরাফি

পাবনার আমিনুলের টাই পরছেন ক্রিকেটার মাশরাফি

নিউজ ডেস্ক: আধুনিক পোশাকের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ টাই। শুধু আধুনিক ফ্যাশনে নয়, অতীতেও এর ব্যবহার ছিল বেশ। কালের পরিক্রমায় এতটুকু কমেনি টাইয়ের কদর। এ বিষয়কেই পুঁজি করে বাহারি টাই বানিয়ে ব্যবসা সফল হয়েছেন পাবনার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আমিনুল ইসলাম।

শুধু আমিনুল নন, তার মতো অনেক ছোট উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছেন এমন উদ্যোক্তারা পোশাক, চামড়া, পাটজাত, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, হস্ত ও কুটিরশিল্পসহ নানা পণ্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এখানে চলছে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী 'জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৮'।

গত বুধবার মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসএমই ফাউন্ডেশন ও এফবিসিসিআই আয়োজিত মেলায় সারাদেশের ৮৫ নারীসহ ২৬৮ উদ্যোক্তা পণ্য প্রদর্শন করছেন। রোববার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

পাবনার নিজ বাড়িতে বসে ক্ষুদ্র পরিসরে টাই তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন আমিনুল। তিনি বলেন, এখন তার টাইয়ের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। তার তৈরি টাই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ বিচারপতিরা ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীর প্রধানরাসহ অন্য কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন। তারকা ক্রিকেটার মাশরাফিসহ মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও তার টাই পরছেন। দেশের বাইরে উপহার দিতে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থাপত্যশৈলীসহ নানা নিদর্শনে তৈরি করা এসব টাইয়ের কদর বাড়ছে। পাশাপাশি করপোরেট হাউসগুলোতে সবার জন্য একই রকম টাই তৈরি করার অর্ডারও পাচ্ছেন তিনি। মেলায় এসব বাহারি টাই প্রদর্শন করেছেন তিনি। প্রতিটি টাইয়ের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ৭৬০ টাকা। তিনি বলেন, শুধু দেশের বাজারে নয়, রফতানির জন্য অর্ডার এলেও দিতে পারছেন না তিনি। রফতানির প্রতিটি অর্ডার ১ লাখ থেকে ২ লাখ পিসের বেশি হওয়ায়- এত সরবরাহ দেওয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়নি। এ কারণে তিনি ব্যবসার পরিসর ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছেন। বর্তমানে ১০০ নারী ও ২০ পুরুষ কর্মী দিয়ে চলছে তার কারখানা।

মাত্র ১৭ হাজার টাকা দিয়ে চামড়াজাত পণ্য তৈরির ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন যশোরের নারী উদ্যোক্তা মাসুদা ইয়াসমিন ঊর্মি। প্রতিষ্ঠা করেন স্মার্ট লেদার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, খুবই কম পরিমাণে পুঁজি নিয়ে এক রুমের মধ্যে ২ কর্মচারী দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন তার ব্যবসার মূলধন ৭৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। বে এম্পোরিয়াম, মুনমুন লেদারসহ বিভিন্ন কোম্পানির অর্ডার অনুযায়ী তিনি পণ্য সরবরাহ করেন। এ ছাড়া সেনানিবাসের কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো চামড়ার পণ্য তৈরি করে দেন। রাজধানীর বাইরে খুলনা, কুমিল্লা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় বেশ চাহিদা রয়েছে স্মার্ট লেদারের পণ্যের। পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে হাজারীবাগে ৪ হাজার বর্গফুটের কারখানা স্থাপন করছেন তিনি। ব্যবসার এই পরিসর বাড়াতে আর্থিক সহযোগিতা করছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

মেলায় নানা ধরনের খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য নিয়ে এসেছে আরেক সফল উদ্যোক্তা অমৃত কনজিউমার ফুড প্রডাক্টস। দক্ষিণাঞ্চলের নামকরা এ কোম্পানি দেশের সব জেলায় তাদের পণ্য ছড়িয়ে দিতে চায় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা গকুল মজুমদার। এ ছাড়া মেলায় মিলছে নারী উদ্যোক্তাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন বাটিক ও বুটিক পোশাক। হাতের কাজের নানা গহনা, ব্যাগ, চাদর, ফুলের টব, রিং, পেইন্ট বোতল, গহনার বাক্সসহ নানা ধরনের পণ্য নিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস
 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে