বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭, ০৬:৩৩:২৭

প্রেমার্থ অভিশাপ: পর্ব-২

প্রেমার্থ অভিশাপ: পর্ব-২

লেখক-মেহেদী হাসান কৌশিক

আব্রাম তার প্রণয় কাহিনীর এমন একটা মুহূর্তে আসলো যেটাকে অবশ্যই ভালো কিছু একটা বলা যায়। আমি অধীর আগ্রহের সাথে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এতক্ষন যাবত আব্রামের সব কথা শুনছিলাম। এবার আব্রাম বলল, "চল একটু চা খেয়ে বাকিটা বলি।" আমরা চা পান করে মধুসিটির দিকে হাটা শুরু করলাম ধীর গতিতে।

পরক্ষণে আব্রামকে জিজ্ঞেস করলাম, তারপর...?  আব্রাম বলা শুরু করল, "কয়েকদিন পর এক ভোর বেলায় মিমি আমাকে ফোন দিল, বলল চল আমরা ভোরের প্রকৃতিটা একটু অনুভব করে আসি। নতুন কিছু দেখতে আমি খুব ভালোবাসি এটা তুই খুব ভালো জানোস...তাই কথা না বাড়িয়ে শ্যামলাসীর ওদিকে রিক্সা নিয়ে রওয়ানা দিলাম। সে কি অন্য রকম অনুভূতি! কিছু দূর যাওয়ার পর ও জিজ্ঞেস করল আমি হেডফোনটা এনেছি কিনা। আমি আমার হেড ফোনটা দিলাম। ও আর আমি share করে শুনতে লাগলাম ন্যান্সীর মনোমুগ্ধকর গান...

"ভোরের হাওয়ায় মন ছুয়ে যায় শিশির হারায় সোনা রোদে তোমাকে আজ কাছে পেলাম অনেক চাওয়ার অনুরোধে বুঝে নিও, বুঝে নিও তুমি আমার ভিশন প্রিয় অধরা সূর্য মনের দেয়ালে সুখেরি আলপনা আঁকে দিনের শুরু তোমাকে দেখে ভাবনা চোখ ধরে রাখে তোমাকে আজ কাছে পেলাম অনেক চাওয়ার অনুরোধে বুঝে নিও, বুঝে নিও তুমি আমার ভিশন প্রিয়।"

কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ও আমার হাতটি ধরল, সে কি অনুভূতি দোস্ত তোকে বুঝাতে পারবো না। আমিও ওর হাতটি আমার দুহাত দিয়ে আলতো করে ধরে রাখলাম। রিক্সা হতে নেমে আমরা শস্য খেতের আইল ধরে হাটছিলাম, মৃদু শিশির পরেছিল ঘাসে যাতে আমাদের জুতোয় শিশির মাটি সমেত কাদাকাদা হয়ে ওঠে।

এদিকে সময় যে আমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে তা আর আমরা বুঝতে পারিনি। সময়যন্ত্রের পানে তাকিয়ে দেখি সকাল দশটা ছুঁই ছুঁই। মিমি বলল,"চল এবার আমাদের ফেরা যাক।" রিক্সাযোগে আসতে ছিলাম খুব সতর্কতার সহিদ যাতে উভয় family এর কেউ আমাদের না দেখে। কিন্তু বিধিবাম!

বাসার কাছাকাছি যখন আসি তখন চোখে চোখ পড়ে আমার এক মামার চোখে, যখন মিমির মাথা আমার কাধে রেখে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিল। আমার গ্রামের বাড়ির মানুষদের একটা বদ-অভ্যাস আছে, সামান্য কিছু একটা ঘটলেই হল তা সরাসরি বাবার কানে পৌছিয়ে দেওয়াটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হয়ে ওঠে। আমার বাবা আমার ভাল বন্ধু বটে কিন্তু তারপরও ভয় লাগছে যদি কিছু একটা বলে।

যাহোক, এসব ভাবতে ভাবতেই বাসায় গিয়ে মিমি ফোন দিলো। ও যখন আমার সাথে কথা বলে তখন আমার ভিতর অন্য কোন চিন্তা কাজ করে না। ওর সাথে প্রেমালাপ শুরু করলাম মিনিট পাঁচেক কথা বলার পর দেখি unknown number থেকে waiting call আসছে। কিন্তু আমি তাতে গুরুত্ব না দিয়ে আমার মত করে কথা চালিয়ে যাচ্ছি এরকম পাঁচটি call করার পর মিমিকে hold করে call receive করলেো ও পাশ থেকে যার কণ্ঠ শুনলাম তাতে পিলাই চমকে...

মোটা কণ্ঠে বাবা বলল, "কার সঙ্গে কথা বলছিলে এতক্ষণ?"

"বাবা, আমার একবন্ধুর সাথে" মনে মনে ভাবতে লাগলাম ঐ হারামী মামাটা মনে হয় সব বলে দিছে- "

তো এতক্ষণ কিসের কথা" "না,

এমনেই পড়ার বিষয়" "আচ্ছা যাই হোক।

আমি আমার facebook password তোমাকে বলছি তুমি আমার profile detail setup করে দিও।"

বাবার কথা শুনে এটুকু শঙ্কামুক্তো হলাম বাবাকে মামাটা কিছু বলেনি...... .

(৩য় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন)
১২ জুলাই ২০১৭/এমটি নিউজ/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে