রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:১২:০৮

অন্যকে কাঁদালে নিজেকেও কাঁদতে হয় !

অন্যকে কাঁদালে নিজেকেও কাঁদতে হয় !

- জানিস কয়েক দিন থেকে একটা ছেলেকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছি ।

- মানে ?

- মানে ছেলেটা নাকি আমাকে ভালোবাসে ।

- আর তুই তাকে পাত্তা দিচ্ছিস না ?

- উহু । ওর ভালোবাসার পরীক্ষা নিচ্ছি ।

- তারমানে তুইও ওকে ভালোবাসিস ?

- তোর মাথা খারাপ? আমি ওকে কোন দুঃখে ভালোবাসবো ?

- তো তুই ওর পরীক্ষা নিচ্ছিস কেন?

- এমনি । আমার মজা লাগছে । ছেলেটা মোটামুটি লেখে । আমাকে কি সব হাবিজাবি লিখে ম্যাসেজে দেয় । পড়তে ভালোই লাগে । সে জন্য রেখেছি ।

- ও.. । তো কি পরীক্ষা নিচ্ছিস ?

- এই তো ও যেটা করতে পারবে না সেটা নিয়ে ঝগড়া বাধাচ্ছি । রাগারাগি করছি । আর বোকা ছেলেটা গরম খুন্তির ছ্যাকা খাওয়া বেড়ালের মত মিউ মিউ করে । কি যে আনন্দ লাগে !

- ছেলেটার জন্য তোর একটুও ভালোবাসা নেই ?

- এই ছোকরার জন্য আবার কিসের ভালোবাসা রে? তবে একটু মায়া হয়, এই যা ।

- ছেলেটা কি এতো বোকা ? কিছুই বোঝে না ?

- আমার তো মনেহয় সব বোঝে । কিন্তু আমাকে ভালোবাসে বলে কিছু বলে না ।

- বাব্বাহ । তুইও পারিস ! তবে বলি কি ছেলেটাকে ধোঁকা দিস না ।

- হুম, হইছে চুপ কর । চল ক্লাসে যাই । স্যার আসছে ।

***( কয়েক মাস পরে..)***

- জানিস, ঐ ছেলেটা না এখন আর আমাকে পাত্তা দেয় না ।

- ও তবে তো ভালোই হইছে ।

- না ভালো হয় নি । আমি ওকে এখন ভীষণ চাই । কিন্তু এখন আর ও আমাকে পাত্তা দেয় না ।

- কেন পাত্তা দিবে না কেন ?

- ও যখন আমাকে ভীষণ চাইতো তখন আমি ওকে পাত্তা দেইনি । সব সময় ইগনর করে গেছি । একদিন দেখি হুট করে ও আর আমাকে ম্যাসেজ দেয় না ।

- তুই ওর সাথে যোগাযোগ করছিলি ?

- হুম সারা পাই নি । জানিস ও রোজ আমাদের ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখে যেতো । তারপর কি পরেছি, কি পরলে আরো ভালো লাগতো জানিয়ে ম্যাসেজ দিতো ।

- হুট করে সে এতটা পাল্টে গেলো ?

- ও বেশ কিছুদিন আগে থেকে হ্যাঁ অথবা না একটা উত্তর চাইতো । আমি কিছু বলতাম না ।

- তারপর..?

- তারপর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে অন্য মেয়ের সাথে....!

- কিরে তুই দেখি খুব বেশি সিরিয়াস ! এখন দেখি শেষমেষ ছ্যাকাটা তুই খেলি !

- হইছে চুপ কর, আমার খুব কান্না পাচ্ছে ।

- শোন অন্যকে কাঁদালে নিজেকেও কাঁদতে হবে । এটাই স্বাভাবিক ।

লেখক: বিদ্রোহী মন ।

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে