সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:১৪:০৩

হারিয়ে না যাওয়ার গল্প

হারিয়ে না যাওয়ার গল্প

পাঠকই লেখক ডেস্ক : ফাহমিকে আমি ইদানিং খুব মিস করি। ‘মিস’ শব্দটার সাথে অভ্যস্ত হওয়ার আগে কি বলত মানুষ ? ‘তোমার কথা খুব মনে পড়ে’ ‘তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করে’ ‘তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে’ । নাহ ! কোনও কিছুতেই ‘মিস’ শব্দটার সমান গভীরতা খুঁজে পায় না আমি। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে পুরনো অনেক আবেগের গভীরতা কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এখন সে অন্য একজনের সাথে সংসার করছে । আমার উচিৎ তাকে ভুলে যাওয়া । আসলে ফাহমিকে ভালোবাসার এই বদভ্যাসটা কোনদিন বদলাবেনা । অভিমান জমে জমে একদিন পর্বত হয়ে গেলে, সে পর্বত শিখরে দাঁড়িয়ে, প্রচন্ড কষ্টে অভিমানি কণ্ঠস্বরে চিৎকার করে বলবো, আজো ভালোবাসি তোমাকে, আজো ভালবাসি...।

..... প্রথম কোথায় দেখেছিলাম ফাহমিকে ? ! হ্যাঁ, আমাদের বাসার সামনের রাস্তায় বর্ষার বৃষ্টিস্নাত বিকেলে । স্পষ্ট মনে আছে আমার । আমার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের কোন এক দিন । দুপুর থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল । কলেজেও যাওয়া হয়নি । কতক্ষন আর বই পড়া যায় কিংবা শুয়ে বসে সময় কাঠানো যায় । অনেকটা বিরক্ত হয়েই উপরতলার ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়ায় । রাস্তায় চোখ পড়তেই দেখি টুপটাপ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে খোলা চুলের শ্যামলা একটা মেয়ে হোড় খোলা রিকশাই চড়ে যাচ্ছে ! বৃষ্টি ছুঁয়ে দেওয়ার জন্যে হাত দুটো বাড়ানো । চমৎকার দৃশ্য তো !  চুপসানো মনকে চাঙ্গা করে দেওয়ার মত একটা দৃশ্য !

....চিরল গ্রিবার উপরে হরিণী দুটো চোখ বসানো শ্যামলাটে মেয়েটা আসলেই পুরাটা একটা কিউটের ডিব্বা !  কিউট একটা চুল খোলা মেয়ে হুড় তোলা রিকশাই বৃষ্টিতে ভেজার অসাধারণ দৃশ্যটা দেখেই কার না ভাল লাগে ! এ রকম দৃশ্য বারবার দেখা যায়না । এরকম দৃশ্য গাছে ধরেনা ।

 ......ফাহমির উপর ক্রাশটা তখনি খেয়েছিলাম কিনা জানিনা । বাট হঠাৎ কেন জানি বৃষ্টিভেজা স্যাঁতস্যাঁতে বিকেলটা আমার কাছে ছনমনে হয়ে উঠে । উচাটন হয়ে উঠা মনের ভিতর জ্বলে উঠে হাজার বাতির রোশনাই। আশেপাশে বেজে ওঠে ভায়োলিন, পিয়ানো । মুহুর্তেই চকমকিয়ে উঠা আমি মেঝাপুকে টেনে নিয়ে আসি ছাঁদে । আমি তো বৃষ্টিতে ভিজলাম, জোর করে আপুকেও ভিজালাম,  আপু আমাকে বলে
---রাশেদ তুই আসলে আগাগোড়াই একটা পাগল। বৃষ্টিতে শরীর ভিজিয়ে কি লাভ ? শুধু শুধু শখ করে সর্দি বাধানোর ফন্ধি...
আপুকে সেদিন বলতে পারিনি
---যারা শখ করে বৃষ্টিতে ভিজে তারা শরীর ভেজানোর জন্যে নয়, তারা মন ভেজানোর জন্যেই বৃষ্টিতে ভিজে, শরীর ভেজানোর মধ্যে নয়, মন ভেজানোর মধ্যেই কখনো কখনো অর্থবহ শৈল্পিকতার বসবাস !

......এরপর থেকেই সপ্তাহে দু-একবার দেখতাম ফাহমিকে । কখনো রিকশাই, কখনো পায়ে হেঁটে যাচ্ছে । আমাদের কলনিতে তখন নতুন এসছে । ইন্টার মিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছে । অবাক করা ব্যাপার, কয়েক মাস পরে খেয়াল করলাম, সকাল সন্ধ্যা ফাহমির আসা যাওয়ার ঠিক সময় যন্ত্রমানবের মত আমি অটোমেটিক্যালি আমাদের ব্যালকনিতে গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি । রাস্তার দিকে থাকিয়ে অপেক্ষা করছি !

 ......অপেক্ষা শব্ধটা আমার কাছে বিষাক্ত মনে হত । আমি এই শব্ধটাকে কোন সময় হোল্ড করতে পারিনি। বলতে পারেন অপেক্ষা আর আমি একসাথে যায়না ।       প্রণয়ের গন্ধ পেলেই বৃক্ষ যেখানে সজিব হয়ে উঠে সেখানে রক্ত মাংসে গড়া আমার মত মানুষের ভিতর "অপেক্ষা" শব্দটা ইজিলি জায়গা গড়ে নিতে সমস্যা হওয়ার কথা না ।

......বন্ধুদেরকে প্রেম ভালবাসার টিপস দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি ছিলাম বরাবরই পটু । কিন্তু আমার নিজের ক্ষেত্রে দেখলাম সম্পুর্ন ভীতুর ডিম । কয়বার যে ফাহমির সামনে গিয়েছিলাম তার কোন ইয়ত্তা নেই । একটা শব্দ করতে পারিনি । সে সামনে আসলেই মনে হয়, আমার মুখের ভিতরে ক্লাস্টার বোমার বিস্ফোরন ঘটালেও যেন টু শব্দটা বের হবেনা । এভাবে বলব বলব করে আর বলা হয়ে উঠেনা...।

....প্রায় একবছর পরের কথা । বাড়ির উঠানে কাজিনদের সাথে ক্রিকেট খেলা শেষে থ্রি-কোওয়ার্টার পেন্টের সাথে হাফ হাতা টি-শার্ট পড়ে রাস্তায় বের হতে দেখি কাঁধে কলেজ ব্যাগ ঝোলানো ফাহমি হেঁটে আসছে । সম্ভবত কলেজেই যাচ্ছে । তখনি  মাথাই এলচট করে আজকেই যেভাবে হোক তার সাথে কথা বলতেই হবে। সামনে আসতেই আমি কিছুটা নার্ভাসনেস নিয়ে বললাম

--- হাই আমি রাশেদ
--- জি আমি জানি
--- তাই নাকি ? কেমনে ?
--- আপনার কাজিন মুন্তাহা আমার ক্লাসমেইট
ফিল করলাম আমার ভিতর কনফিডেন্স কিছুটা বোস্টাপ হচ্ছে । বললাম
--- আমি তোমাকে তুমি করেই বলছি, মাইন্ড করছনা নিশ্চয় । তা তোমার নাম কি ?
--- মাইন্ড করার কি আছে ? আমার নাম ফাহমিদা ফাহমি ।
--- বাহ, ! খুব সুন্দর নাম তো আমি এই গলিতেই থাকি, এই তো দু চার
বিল্ডিং পরেই আমাদের বাড়ি
–-- আমি জানি । মুনতাহা আপনার কথা প্রায় বলে থাকে । রাশেদ ভাই হ্যান, রাশেদ ভাই ত্যান হি হি হি..
--- হা হা হা... বাই দা ওয়ায়ে, ফাহমি তুমি নিশ্চয় ফেইসুবুক ইউজ কর ? তোমার আইডির নামটা বলবা ? যাতে তোমাকে এ্যাড করতে পারি ?
--- সরি, আইডি তো দেওয়া যাবেনা । সবাইকে তো আর আইডি দেওয়া যায়না । হা হা হাঁ...
সকালের এক চিলতে সোনা রোদ এসে পড়া মুখের যে হাসিটা এতক্ষন পৃথিবীর সবচেয়ে টাচি স্মাইল মনে হচ্ছিল তা এখন মনে হচ্ছে ঘসেটি বেগমের নিষ্ঠুর হাসি। মনে মনে বলি ""এরকম কিউট মেয়েদের এত কঠিন হওয়াটা স্যুট করেনা । আচমকা ঝেঁপে ধরা নার্ভাসন্যাস বোঝতে না দিয়ে বললাম
 --- ঠিক আছে তোমার আইডি কাউকে দেওয়া না দেওয়ার এখতিয়ার

সম্পুর্ণ তোমার । ব্যাপার না, ওকে ফাহমি, তোমার সাথে
কথা বলে অনেক ভাল লেগেছে

আমি যেই না বাই বলে যাওয়ার জন্যে পেছন ফিরি তখনি আবার ফাহমির কন্ঠ
--- আমার আইডির নাম Fahmi Ctg...। যে ছেলে সামনে এসে কিছু বলার সাহস পাইনা, শুধু শুধু ঘরের জানালা দিয়ে চুরি করে দেখতে থাকে তাকে আমার আইডি দেওয়ার ইচ্ছা টোটালি ছিলনা । এরপরো আপনাকে দিলাম (হাসছে)
--- হা হা  হা তাই নাকি । থ্যাংকস এ লট ফাহমি (লজ্জাই আমি গুটিশুটি মেরে যাচ্ছিলাম)
--- শুনুন, আপনি অনেক দূর চলে এসছেন তো খালি পায়ে
---  সমস্যা নেই । আসুকনা এরকম খালি পায়ের সকাল, বারবার, ! বাই......

...... এই সেদিন ফাহমির সাথে প্রথম বারের মত কথা বলেছিলাম । ওয়াও, সেরকম ঝলকে উঠা কণ্ঠ ! কি মুগ্ধ হয়ে না শুনেছিলাম কিন্নরকন্ঠী রিনরিনে কথার ফোয়ারা ! শ্যামলা মেয়েটি শুধু কিউট তা না । কথাও বলতে পারে দারুন ভঙ্গিমাই । তখন থেকে দিনের চব্বিশটা ঘন্টাই কানে লেগে থাকে ঐ মুগ্ধতার ফ্লেবার-- " যে ছেলে সামনে এসে কিছু বলার সাহস পাইনা, শুধু শুধু ঘরের জানালা দিয়ে চুরি করে দেখতে থাকে তাকে আমার আইডি দেওয়ার ইচ্ছা টোটালি ছিলনা" ।

...... তারপর থেকে সব ইজিলি হতে থাকে । ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর এক্সেপ্ট করা , একে অপরের স্ট্যাটাস কিংবা ছবিতে লাইকানো- কমেন্ট বাজি করা , ইনবক্সে হাই হেলর সাথে একে অপরের যাপিত জীবনের খুঁটিনাটি যেনে নেওয়া, মাঝে মধ্যে হ্যাং-আউট করা , ছোটখাট গিপ্ট দেওয়া নেওয়া সবই । আসলে ভাল-লাগাটা আশ্চর্য এক গতিময়তার নাম, যা কারো হাত ছাড়া নিজস্ব ভঙ্গিতে উন্মেচিত হয় বরং দূরত্বই পথের সৃষ্টি করে, পথ থেকে পথ গড়ে দেয় ।

......আমার ভাল লাগার বিষয়টা ফাহমিকে বলার জন্যে মুখিয়ে ছিলাম । কিভাবে বলব বোঝে উঠতে পারছিলামনা । ভয় ছিল পাছে রিলেশানে জড়াতে না চাই কিংবা ইগনোর করে দেয় । একদিন ফেসবুকে আমাদের চ্যাটিংটা হচ্ছে...
Rased :  জন্ডিসে আক্রান্ত নিঃসঙ্গ নগরীর নিষ্প্রাণ রাস্তায় কোন একদিন, অবহেলায় নিঃশব্দে নিরুদ্দেশ হব
Fahmi Ctg : সোডিয়ামের আলোয় আলোকিত নগরির মধ্যরাতের হলদেটে রাস্তাগুলোর নিঃসঙ্গতা আমারও খুব প্রিয়, আমাকে সাথে নিবা ?
আমার ভিতর আমি কিছুটা ঝাঁকুনি খেয়ে উঠি ! বোঝেশুঝে রিপ্লাই করছেত ? আবার ইনবক্স করলাম
Rashed :  উড়তে চাইলে চল দুজন এক আকাশে উড়ি
Fahmi Ctg : তখন না হয় হয়ে যাব একই রঙের ঘুড়ি
ঝাঁকুনিটা আরো একটু প্রবল ভাবে খেলাম । ফাহমি কি সিরিয়াস !
 Rased : বউ-পালানো জ্যোৎস্না রাতে শ্যামলাটে কোন এক তরুণীকে  মায়াবতী বলে ডাকতে ইচ্ছে করছে
Fahmi Ctg :আমি কি হতে পারি তোমার সে মায়াবতী ?
Rased :  ওয়াও ! আমি তো এটাই চাচ্ছিলাম ।
Fahmi Ctg :  আমি জানি
Rashed :  একটা কথা বলি
Fahmi Ctg :   বল
Rased :   আই লাভ ইউ !
Fahmi Ctg : আই লাভ ইউ টু !

……ভালবাসি কিনা প্রকাশ করার জন্যে আসলে বিলবোর্ড এর প্রয়োজন হয়না । ভালবাসা প্রকাশ করতে হয়না, ভালবাসা নিজে থেকেই প্রকাশিত হয় । অনেকদিন মিশতে মিশতে আমি বোঝে ফেলেছিলাম ফাহমিও আমার প্রতি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে তা আমি জানতাম । ফাহমি খুব মিষ্টি না বিরক্তিকর তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা ছিলনা । গায়ের রং ফর্সা না উজ্জ্বল শ্যামলা তাও পরখ করে দেখিনি । ফাহমির নামে চিটাগাং শহরে ফ্ল্যাট--জমি আছে কিনা তাও হিসেবের চৌহদ্দির বাইরে রেখেছিলাম । বরঞ্চ খোঁজ নিয়েছি সে পায়ে নূপুর পড়ে কিনা, জ্যোৎস্না দেখে তার আবেগ উপচে পড়ে কিনা কিংবা রবীন্দ্র সঙ্গীত ছেড়ে দিয়ে জানালার গ্রিলের ফাঁকে বৃষ্টি ছুঁয়ে দেয় কিনা এসব ।

......মুডিপাইড প্রিয় মানুষটার সাথে কাটানো কিছু মুমেন্টাম এমন হয় যা ব্র্যান্ড এর পারফিউমের মত অনেক্ষন অনেক দিন মনের গলি ঘুপচিতে ইতিউতি করতে থাকে, সৌরভ ছড়াতে থাকে, আমার কাছে সুখানোভুতির ডেফিনেশান হচ্ছে এটাই । এর আগে ইনবক্সে আড্ডার ঝড়ে মিউচুয়ালি তা দিয়েছিলাম অসংখ্যবার । কিংবা একসাথে কত্ত জাগায় কতবার ঘুরেছি তার হিসেব নেই ।

......কিন্তু কেন জানি পহেলা বৈশাখের দিনে প্রিয় ফাহমির সাথে কাটানো চার পাঁচ ঘন্টার মুহুর্তটাই ছিল আমার কাছে প্রচণ্ড রকমের আনন্দের । লালপেড়ে সাদা শাড়ির সাথে ম্যাচ করা হাত ভরা কাছের চুড়ি, আর কপালের ঠিক মাঝখানটাই বসানো লাল টিপটা ফাহমির সাঁজে প্রচণ্ড ভাবে বাঙ্গালিয়ানা উঁকি দিচ্ছিল । ঐদিনেই প্রথম বারের মত একসাথে আমরা হুড় তোলা রিকশাই চষে বেড়িয়েছিলাম দু নম্বর গেইট ধরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি হয়ে জিউসির মোড়ের অলিতে গলিতে । ! ঐদিনেই বোধই প্রথম বারের মত পরস্পর হাত ধরে পাশাপাশি হেটেছিলাম । প্রায় পাঁচটা ঘন্টা তার বাম হাতের কনি আঙ্গুল আমার ডান হাতের কনি আঙ্গুলের সাথে লেপটে ছিল ! এই অভাবনিয় মুহুর্তটা কেমনে ভুলি ।

......যত দিন যাচ্ছে ততই আমাদের সম্পর্কের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে ।  মিউচুওয়াল রেস্পক্ট, এবং ট্রাষ্ট এর পারদ উপরে উঠতে থাকে । স্বপ্নের মতই চলছিল আমাদের রিলেশান । আমরা গড়ে নিয়েছিলাম নিজস্ব একটা জগত । আমাদের মত করেই । আমরা বোনতে থাকি আমাদের আগামীর স্বপ্ন । ততদিনে ফাহমির ইন্টারমিডিয়েট ফাইনাল শেষ আর আমি অনার্স থার্ড ইয়ারের ফাইনাল দেব । একদিন ফাহমির ফোন
--- ছেলেপক্ষ আগামী কাল আমাকে দেখতে আসবে । আর তুমি বসে বসে
আঙ্গুল চোষ । রাশেদ  প্লিজ কিছু একটা কর
--- কি সব আবোল তাবুল বলছ  কদিন আগেই না বলছ, আগামী চার বছর
কোন সমস্যা হলে তুমি নিজেই সামলাবা
--- সামলানোর জন্যে সময় পেলেইতো ! আজকে হঠাৎ বড় ভাবি আমাকে বলছে
আগামী কালকেই আমাকে দেখতে আসছে। ছেলে আমাদের দূর সম্পর্কের রিলেটিভ !
ব্যাংকক সুপার মার্কেটে ছেলের বাটা বাজারের শোরুম আছে । আব্বুর ভাব গতি
সুবিধার মনে হচ্ছেনা, প্লিজ তাড়াতাড়ি কোন একটা পথ...

ফাহমির কথা শেষ করার আগেই মোবাইলের অপর প্রান্তে ভরাট পুরুষালী কণ্ঠে উর বাবার বকাবকি
 --- কে ? কার সাথে কথা বল ? তোমাকে না বলছি রাশেদের সাথে যোগাযোগ না করতে । কথা কানে যায়না ? এদিকে দাও মোবাইল । হ্যালো কে ? হ্যালো ! কথা বলনা
লেখকঃ বশির আহমেদ রাকিব
জেদ্দা  ([email protected]) ০০৯৬৬ ০৫০২৪৮৭৬৫২
(সম্পাদক দায়ী নয়)  
২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে