শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০২:২৬:৪৫

পুজোয় বেড়াতে না বেরোলে কেমন গরিব গরিব দেখায়: তসলিমা নাসরিন

পুজোয় বেড়াতে না বেরোলে কেমন গরিব গরিব দেখায়: তসলিমা নাসরিন

প্রবাস ডেস্ক: পুজোর সময় কলকাতাকে মিস করি। হায়রে সুন্দর মন্ডপ বানায় ওরা! এক একেকটা থিম মাশাল্লা। শিল্প কারে বলে, হাঁ করে দেখতে হয় শুধু। আজকাল লক্ষ করেছি পুজো দেখতে ভিড় করে গরিব লোকেরা। বেশির ভাগ বড়লোক আর মধ্যবিত্ত বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে, পাহাড়ে, সমুদ্রে। অনেক সময় শহর ছেড়ে যাওয়াটা স্টেটাসের অংশ হয়ে ওঠে। বাঙালি অনুকরণপ্রিয় মানুষ। স্টেটাসপ্রিয়ও। পুজোয় বেড়াতে না বেরোলে কেমন গরিব গরিব দেখায়। কেউ চায় না তাকে গরিব দেখাক। পুজোর পর এমন আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে খুব ভালো লাগে, 'এবার পুজোয় কোথায় বেড়ালে?' ভারতের কোথাও হলে ঠিক আছে। আর কেউ যদি বলে,' এবার তো প্যারিস ঘুরে এলাম।' তাহলে? ইউরোপ ঘোরার ইচ্ছেটা কদিন পর পর খোঁচাবে।

মানুষ বদলে যাচ্ছে। দ্রুত। অথবা এমনই ছিল মানুষ। চিরকাল। তার চেয়ে জামালুদ্দিন খানই ভালো। রাজস্থানের যোধপুরের ভোপালগড়ের বাগোরিয়া গ্রামে ৬০০ বছর ধরে তাঁর পূর্বপুরুষ দুর্গা পুজোর পুরোহিতের কাজ করেছেন। তিনিও তাই করছেন। দুর্গা ভক্তির একটা গল্প আছে। জামালুদ্দিনের পূর্বপুরুষেরা মরুভূমিতে জলের অভাবে একবার মরতে বসেছিলেন, তখন কেউ একজন বলেছিল, কোনও এক জায়গায় জল পাওয়া যাবে, ওখানে দুর্গা মূর্তি পড়ে আছে, মূর্তিটাকে যেন দেখ ভাল করা হয়। ব্যস, জল পান করে বাঁচলেন ওঁরা। দুর্গার জন্য মন্দির বানালেন, আর নিজেরাই পুরোহিত হয়ে প্রতিবছর পুজো করতে লাগলেন। জামালুদ্দিনের অনেক বয়স, পুজোর সময় কোথাও বেড়াতে টেড়াতে যা্ন না।
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে