সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:৩০:৫২

শেখ হাসিনার মতো নেতা বিশ্বে পাওয়া বেশ কষ্টকর: অর্থমন্ত্রী মুহিত

শেখ হাসিনার মতো নেতা বিশ্বে পাওয়া বেশ কষ্টকর: অর্থমন্ত্রী মুহিত

প্রবাস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র সফররত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বাঙালি জাতির পরম সৌভাগ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের পরে ১৯৯৫ সালে আমরা শেখ হাসিনার মতো আরো এক যোগ্য নেতা পেয়েছি। তার নেতৃত্ব ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। তিনি বলেন, দশ বছর আগের যে শেখ হাসিনা ছিলেন ওই শেখ হাসিনাকে আর পাবেন না। এখন বুদ্ধিতে, কৌশলে ও জনকল্যাণে তার মতো এমন একজন নেতা বিশ্বে পাওয়া বেশ কষ্টকর। আমার পরম সৌভাগ্য আমি বঙ্গবন্ধুর সরকারেও কাজ করেছি।
 
স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ প্রবাসীরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
 
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বর্তমান স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
 
মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর দেশে সামরিক শাসন ছিল। '৯১ সালে আমরা সামরিক শাসন উৎখাত করেছি। ৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত যারা সামরিক শাসকের প্রতিনিধি ছিলেন তারাই রাজত্ব করেছেন। তিনি বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে। 

বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মৎস্যখাতে বাংলাদেশ চতুর্থ উৎপাদনকারী দেশ। আমরা যথেষ্ট মাছ খাই, আবার বিদেশেও রপ্তানি করি। এই সফলতার পেছনে অন্যতম কারণ আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ। তবে বুদ্ধির প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই বুদ্ধি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন দেশে যোগ্য নেতৃত্ব। এই নেতৃত্ব যদি ঘুনেধরা থাকে তাহলে যতই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেনো উন্নয়ন সেরকম হবে না।
 
তিনি বলেন, নেতৃত্ব হতে হবে নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে। এছাড়া বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সাহস থাকতে হবে এবং ঝুঁকিও নিতে হবে। সর্বোপরী দরকার প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব। যে নেতৃত্বের লক্ষ্য থাকে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের। শেখ হাসিনা দেশকে সেই নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব না থাকলে আজকের অবস্থানে আমরা পৌঁছুতে পারতাম না।
 
ড. এ কে আব্দুল মোমেন স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়শীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। এ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
 
সভাপতির বক্তব্যে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য তিনি দেশে প্রবাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি-জামাতের যে কোনো ষড়যন্ত্র দেশবাসী নস্যাৎ করে দেবে।
 
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা আক্তার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী, লুৎফুল কবীর, আবুল কাশেম, সামসুদ্দিন আজাদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল হাছিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, মো. সোলায়মান আলী, খোরশেদ খন্দকার, দেওয়ান বজলুর রহমান, কাজী আজিজুল হক খোকন, আব্দুল মালেক, তৈয়বুর রহমান টনি, শাহানারা রহমান, অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, সাখাওয়াত বিশ্বাস, কবীর আলী, রফিকুল ইসলাম, আতাউল গণি আসাদ, জামাল হোসেন, নান্টু মিয়া প্রমুখ।
 
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বসন্তকালীন সভায় যোগ দিতে গত ১৬ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। 
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে