সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:৩১:২৭

প্রতিউত্তর

প্রতিউত্তর

পিলখানায় হত্যাকারীদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন বিডিআরকে অফিসার শূণ্য করা। সামরিক বাহিনী থেকে বাহিনীতে কোনও অফিসার আসবে না, এটাই ছিলো তাদের স্লোগান। তাই আদালত আসামিদের সঠিক সাজাই দিয়েছেন।’

সোমবার পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।

সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে আপিল চলাকালে ১ জন মারা গিয়েছিলেন। ১৫২ জনের মধ্যে আপিলে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড থেকে দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। ৪ জন আসামিকে খালাস দিয়েছেন। ফলে ১৩৯ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। ১৬০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে আপিল চলাকালে ২ জন মারা গেছে। হাইকোর্ট বিভাগ ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন, ১২ জনকে খালাস দিয়েছেন।’

অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছিল ঢাকার সেশন (দায়রা) জজ আদালতে। আদালত মোট ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন।

এই দণ্ড প্রদানের পর সেশন কোর্ট থেকে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এবং এ মামলা শুনানির জন্য ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। বিগত ৩৭০ কার্যদিবস এ মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানির পর রবিবার (গতকাল) থেকে রায় দেওয়া শুরু হয়, আজ সোমবার রায়ের দণ্ড (অংশ) পড়ে শোনানো হয়।

মাহবুবে আলম আরও বলেন, ‘এছাড়া ২৫৬ জন যাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে আপিল চলাকালে ৩ জন মারা গেছেন। ২৮ জন কোনও আপিল করেননি। ১৮২ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। ২ জনকে ১৩ বছর কারাদণ্ড, ৮ জনের ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ২৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে