ইসলাম ডেস্ক: গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নুর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে ব্রেন্টন হেরিসো টারান্ট নামের অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবক মুসল্লিদের ওপর ব'র্ব'রো'চিত আ'ক্র'মণ চালায়। এতে ৫১ জন মুসল্লি নি'হত হন এবং প্রায় ৫০ জন আ'হত হন। এই হা'মলার পরদিন নি'হত মুসলিমদের প্রতি আবেগপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় সমবেদনা জ্ঞাপন করেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড পুলিশ বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট নায়লা হাসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল তাঁর ভাষণটি, যা মুহূর্তেই বিশ্বে পরিচিত করে তোলে এই মুসলিম নারীকে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া পবিত্র হজে সৌদি আরবের কিং সালমান বিন আবদুল আজিজের রাজকীয় অতিথি হিসেবে ৭৩টি দেশের ছয় হাজার ৩০০ লোকের হজের ব্যবস্থা করা হয়। এতে নিউজিল্যান্ডের হা'মলায় নি'হতদের নিকটাত্মীয়দের থেকে মোট ২০০ লোকের হজের ব্যবস্থা করা হয়, যাঁদের মধ্যে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ও সর্বোচ্চ পদাধিকারী মুসলিম নারী নায়লা হাসানও। প্রথমবারের মতো হজ আদায় করতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করেন এবং সৌদি যুবরাজ সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এক সাক্ষাৎকারে নায়লা হাসান নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে সবার মতো আমারও পবিত্র কাবা দেখার স্বপ্ন ছিল। মক্কা ও মদিনা গমনের ইচ্ছাও ছিল। আজ পবিত্র কাবা দেখে আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুবই আনন্দ বোধ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে মসজিদের হা'মলায় নিহ'তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনের বক্তব্যটি ছিল আমার হৃদয় থেকে উৎসারিত। এমন পাশবিক আ'ক্রমণে আমি খুবই ভা'রাক্রান্ত হয়েছিলাম। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের মুসলিমসমাজেও এমন অ'নাকাঙ্ক্ষি'ত আ'ক্রমণ খুব বেশি বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল।’