মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ০৯:৩৬:০২

এবার কোলের শিশুপুত্রকে হ'ত্যার কথা স্বীকার করলেন মা

এবার কোলের শিশুপুত্রকে হ'ত্যার কথা স্বীকার করলেন মা

নারায়ণগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের ৫ বছর বয়সী শিশু তুহিনকে হ'ত্যার দায় তার বাবা স্বীকার করার পর এবার নারায়ণগঞ্জে দেড় বছরের শিশু জাহিনকে হ'ত্যার কথা স্বীকার করলেন তার মা। 

দেড় বছর শিশুপুত্রকে চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফে'লে দিয়ে হ'ত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহ'ত শিশুর চাচা জাহিদুজ্জামান খান বাদী হয়ে শিশুটির মানসিক ভা'রসাম্য'হীন মা রোকসানাকে আ'সা'মি করে ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলা করেন।

এদিকে নিজের আড়াই বছরের শিশুকে ছাদ থেকে ফে'লে হ'ত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটির মা রোকসানা নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুরুন নাহারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আদালতে রোকসানার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা পশ্চিম নন্দলালপুর এলাকার আমানউল্লাহ প্রধানের বাড়ির চারতলার ছাদ থেকে নিজের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আশফাক জামান জাহিনকে ফে'লে দেন। 

শিশুটিকে উ'দ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিনকে মৃ'ত ঘোষণা করেন। প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে পরিবার। পরে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন রোকসানা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে।

শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান মারুফ জানান, গত পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে একই এলাকার রোকসানা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার স্ত্রী রোকসানা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। 

তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলে তার বড় মেয়ে অর্পার ফোন পেয়ে শহরের চাষাঢ়ায় পপুলার হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী রোকসানা তাদের দেড় বছরের শিশুপুত্র জাহিনকে বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় শিশুর চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। শিশুর মা মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে ছাদ থেকে ফে'লে দিয়ে সন্তানকে হ'ত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওসি আসলাম হোসেন জানান, যদিও নিহ'ত শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন অসু'স্থ রোগী। নিজের অজান্তেই হয়তো তিনি এ কাজটি করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও সেটা দাবি করা হচ্ছে। স্বজ্ঞানে কখনও একজন মা এ কাজ করতে পারেন না। তবে আইনের কাছে সব অ'পরা'ধীই সমান। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে