হেফাজত নেতা মোহাম্মদ মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন হেফাজতকর্মীরা। বাগেরহাটের মোল্লাহাটে হেফাজতকর্মীদের হামলায় থানার ওসিসহ পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে চাঁদপুরের কচুয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন হেফাজত নেতাকর্মীরা। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মোল্লাহাটে হেফাজতকর্মীদের হামলায় থানার ওসি কাজী গোলাম কবিরসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হেফাজতকর্মীদের বিক্ষোভচেষ্টায় বাধা দেওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় জনতা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলে হেফাজতকর্মীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন মোল্লাহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবির, এসআই ঠাকুর দাস, এএসআই বাহারুল, এএসআই লিয়াকত, কনস্টেবল সোহাগ মিয়া, নাজমুল ফকির ও ডিএসবির কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম।
ওসি কাজী গোলাম কবির বলেন, ‘হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।’
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, ‘হেফাজতের নেতাকর্মীরা মোল্লাহাট হাসপাতালের মোড়ে জড়ো হয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।’
হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় জামিয়া হালিমিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক (হেফাজত নেতা) মাওলানা আব্দুল্লাহকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা স্বাক্ষরিত পত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।কালের কণ্ঠ