রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:৩০:৩০

সেই ঝিনুক কন্যার দায়িত্ব নিলেন কাজী রাসেল

সেই ঝিনুক কন্যার দায়িত্ব নিলেন কাজী রাসেল

কক্সবাজার: সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও সংবাদ মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাগর পাড়ের ঝিনুক কন্যা রাফিয়াকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। রাফিয়াকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই ফেসুবক ব্যবহারকারী ও সংবাদ মাধ্যমের। এর ফলে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ঝিনুক কন্যা সংগ্রামী রাফিয়ার ভক্ত ও সমর্থক।

রাফিয়া অতি দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেয়ায় অভাবের তাড়নায় পর্যটন নগরী সৈকতে ঝিনুক বিক্রি করে তার পরিবারের ভার নিজ কাঁধে নিতে বাধ্য হয়েছিল। পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন তার পড়াশোনা। বর্তমানে সে কলাতলি সৈকত প্রথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মাত্র দশ বছর বয়সে এ সংগ্রামী ঝিনুক কন্যা রাফিয়াতে মুগ্ধ দেশ ও বিদেশের লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। সবাই তার প্রশংসামুখর। সবার একই কথা রাফিয়ার কাছে শেখার আছে আমাদের।

এদিকে, সে আলোচিত রাফিয়ার পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন কাজী রাসেল আহমেদ নোবেল। তিনি এবার কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ছাড়াও পর্যটন নগরীর স্টুডিও মালিক সমিতির সভাপতি ও কটেস শ্রমিক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে কাজী রাসেল আহমদ নোবেল বলেন, রাফিয়া ও তার ভাই আরফাতকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করাতে আগ্রহী। রাফিয়াদের পরিবার স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমাসে এক বস্তা করে চাল দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে অন্যান্য বিষয় গুলো তিনি রাফিয়াদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এসব খরচের ব্যায় তার বাবা মরহুম তোফায়েল আহমদের নামে পারিবারিক যাকাত ফাউন্ড থেকে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে রাফিয়ার বাবা আবদু করিম বলেন, শনিবার ২৩মার্চ সন্ধ্যার দিকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী রাসেল তার বাড়িতে তার পুরো পরিবারকে ডেকে পাঠান। পরিবারসহ তার অফিসে দেখা করতে গেলে, তিনি আমার ছেলে মেয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন। রাফিয়ার জন্য তাৎক্ষণিক স্কুল ব্যাগ, ড্রেস সহ কিছু নগত অর্থ প্রদান করেন।

রাফিয়া শনিবার ২৩মার্চ থেকে স্কুলে ফিরেছে জানিয়ে রাফিয়ার বাবা আবদু করিম আরো বলেন, সবার সহযোগীতা রাফিয়া সহ তার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চান। আজকে অপরজন যেভাবে আমার পরিবারকে সাহায্য করছে, আমার বড় ইচ্ছে, আমার ছেলেমেয়ে যেন ঠিক একই ভাবে অন্যের বিপদে দাঁড়ায়।

আপাতত সব ভুলে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চান জানিয়ে রাফিয়া জানান, কলাতলি সৈকত প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্লাস ফোরে তার রোল নাম্বার ছিল ৩। তবে ঠিকমত পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে না পারায় পঞ্চম শ্রেণিতে তার বর্তমান অবস্থান ২৭নাম্বারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে