শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯, ০৯:২৮:৫৭

মুখে খাবার তুলে দেয়া সেই অন্নদাতাকেই এবার গু'লি করে মারলো রোহিঙ্গারা!

মুখে খাবার তুলে দেয়া সেই অন্নদাতাকেই এবার গু'লি করে মারলো রোহিঙ্গারা!

কক্সবাজার থেকে : মিয়ানমারের রাখাইনে স'হিং'স ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রা'ণ বাঁ'চাতে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য আসে, তখন তাদের সাহায্য করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

 
দুই বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে স'হিং'স ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রা'ণ বাঁচাতে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য আসে, তখন অন্যান্য হাজারো মানবতাকামী মানুষের মতো মোহাম্মদ ওমর ফারুক (৩০) নামের এক যুবকও এগিয়ে এসেছিলেন। 

নি'পী'ড়ি'ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মুখে খাবার তুলে দিতে প্রাণান্তকর কষ্ট করেছিলেন তিনি। সেদিন বাস্তুহারা অসহায় রোহিঙ্গাদের মুখে যে অন্নদাতা খাবার তুলে দিয়েছিলেন আজ দুই বছর পর এসে সেই অন্নদাতাকে গু'লি করে হ'ত্যা করেছে রোহিঙ্গারা। 

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় তাকে গু'লি করে হ'ত্যা করে একদল রোহিঙ্গা স'ন্ত্রা'সী। নিহ'ত যুবক ওই এলাকার মোহাম্মদ মোনাফ কোম্পানির ছেলে এবং হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তার মৃ'ত্যুর খবর পেয়ে নিহ'তের পরিবার লা'শ আনতে গেলে তাতেও বাধা দেয় রোহিঙ্গা সন্ত্রা'সীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন রাতে ওমর ফারুককে নিজের বাড়ির সামনে থেকে ফিল্ম স্টাইলে তুলে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা ডা'কা'ত স'র্দার সেলিমের নেতৃত্বাধীন একদল অ'স্ত্র'ধারী সন্ত্রা'সী। এক পর্যায়ে তাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গু'লি করে হ'ত্যা করে তারা। এদিকে ওমর ফারুকের মৃ'ত্যুর খবর পেয়ে তার ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে যান। তবে স'ন্ত্রা'সীরা নিহ'তের স্বজনদের তার ম'র'দেহ আনতে বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লা'শ উদ্ধার করে।

নি'হতের ভাই আমির হামজা বলেন, "রাখাইনে রোহিঙ্গাদের দ'ম'ন নি'পী'ড়'ন শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে অন্যান্যদের মত আমার পরিবারও দাঁড়িয়েছিল। এসব রোহিঙ্গাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে আমার ভাই। দিন রাতদিন পরিশ্রম করে তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে আমার ভাই। আজ সেই রোহিঙ্গারাই আমার ভাইকে গু'লি করে হ'ত্যা করেছে। এমনকি তারা আমার ভাইয়ের লা'শটা পর্যন্ত নিয়ে আসতে দিতে চায়নি।"

টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম এস দোহা বলেন, "খবর পেয়ে নি'হ'তের লা'শ উ'দ্ধার করা হয়েছে। রাতেই ম'য়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই হ'ত্যা'কা'ণ্ড ঘটলো তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রে'ফতারের চেষ্টা চলছে।"

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে