রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১, ১০:০৭:৫৮

লোকলজ্জা ও বাবার ভয়ে মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

লোকলজ্জা ও বাবার ভয়ে মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত একই এলাকার বখাটে বাদশার ছেলে আলমগীর। বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে 
রাতে ঘর থেকে তুলে মৎস্যঘেরে নিয়ে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে পরিবার। 

পরে লোকলজ্জা ও বাবার ভয়ে ওই ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় শনিবার (২৪ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ছাত্রী রাজাখালী বেশারাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

নিহত ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনার সময় স্ত্রীসহ বাঁশখালীর পুঁইছড়ি আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলে জানায়, মেয়ে বিষপান করেছে। দ্রুত বাড়িতে এসে স্থানীয়দের কাজ থেকে জানতে পারি বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম মেয়েকে রাতে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে মৎস্য প্রজেক্টের টংঘর নিয়ে যায়। ওখানে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এমন ঘটনায় সে অপমানবোধ করায় রাতে বিষপান করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

আলমগীরকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলার এজাহার করা হলেও পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না বলে জানান ওই মাদরাসাছাত্রীর বাবা।

এজাহার না নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কানন সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষপানে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি যেহেতু এসেছে তাই দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যাবে। তখন এটি নিয়মিত মামলা হয়ে যাবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে