শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:৩২:১৫

হঠাৎ স্ত্রীর প্রেমিককে দেখল খাটের নিচে, অতঃপর স্বামী....

হঠাৎ স্ত্রীর প্রেমিককে দেখল খাটের নিচে, অতঃপর স্বামী....

কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রামে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে আটক করেছে প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পি নামে এক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নেওয়াশী গ্রামে।

আটক পরকীয়া প্রেমিক পার্শ্ববর্তী বোয়ালভীর গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে দুই সন্তানের জনক বকুল চন্দ্র দাস (৪৭)। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বাড়িতে বেঁধে রাখা পরকীয়া প্রেমিককে দেখার জন্য ওই এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় করছে।

হঠাৎ স্ত্রীর প্রেমিককে দেখল খাটের নিচে, অতঃপর স্বামী ফুলবাড়ী থানায় খবর দিলে এসআই মহুবর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পি বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বিশ্বনাথ কুন্ডুর মেয়ে বিথি রানী পালের (২৬) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

দীর্ঘদিন এই সংসার জীবন অতিবাহিত হলেও স্ত্রী বিথি রানী পাল সবার অগোচরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বোয়ালভীর গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে দুই সন্তানের জনক বকুল চন্দ্র দাসের প্রলোভনে পড়ে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রীর খাটের নিচ থেকে বকুল চন্দ্র দাসকে আটক করা হয়।

প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পি আরও বলেন, তিনি স্ত্রীর এই অনৈতিকতা থেকে মুক্তি চাচ্ছেন। পাশাপাশি স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক বকুল চন্দ্র দাসেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। যাতে করে আর কোনো স্বামী-স্ত্রীর সুখের সংসারে এমন পরকীয়া প্রেমিকদের আবির্ভাব না ঘটে।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই মহুবর রহমান সন্ধ্যা ৭টায় বলেন, আটক পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। এলাকাবাসী পরকীয়া প্রেমিক ও প্রেমিকা উভয়কেই পুলিশে সোর্পদ করার দাবি তুলেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর  ‘স্ত্রীর পরকীয়ায় বিপাকে স্বামী!’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়।

খবরে বলা হয়েছিল, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নেওয়াশী গ্রামে স্ত্রীর পরকীয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বামী প্রদীপ কুমার পাল বাপ্পি (৪২)। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারছেন না তিনি। আবার প্রেমিকের সাথে সংসার না করতে দিলে স্ত্রী দিচ্ছেন আত্মহত্যার হুমকি।

শ্বশুর বলছেন, মেয়ের কোনো ক্ষতি হলে তার দায়ভার নেবে জামাতা প্রদীপ কুমার। এমন ত্রিমুখি সমস্যার গ্যাঁড়াকলে পড়ে কারো সহযোগিতা না পেয়ে সাংবাদিকদের দারস্থ হন প্রদীপ। তিনি চান- হয় স্ত্রী পরকীয়া থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, নয়তো ডিভোর্স নিয়ে চলে যাক। কিন্তু ডিভোর্সের কথা এলেই সামনে চলে আসছে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা।  --পরিবর্তন

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে