বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:০৪:২৬

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ২২ আন্দোলনকারীকে হল বের করে দেয়ার অভিযোগ

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ২২ আন্দোলনকারীকে হল বের করে দেয়ার অভিযোগ

কুষ্টিয়া : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো দেশে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত রোববার থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে পূর্বঘোঘিত গণপদযাত্রা শেষে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

পরে রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চড়াও হলে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দিবাগত রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আন্দোলনকারীরা ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের বাংলোয় ঢুকে তছনছ ও ব্যাপকভাবে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বাংলোর শোয়ার ঘর থেকে বাথরুম, রান্নাঘরসহ সবখানে ভাঙচুর চালায় তারা। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ২২ আন্দোলনকারীকে হল বের করে দেয়ার অভিযোগ।

পুরো দেশে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীরা। তবে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণার পর আন্দোলন স্থগিত করে।

এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের গণহারে হল থেকে বের করে দিচ্ছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে লালন শাহ হল থেকে অন্তত ২২ জনকে হল ছাড়া করে তারা। হল শাখা সভাপতির কর্মী সালাহউদ্দিন আহমেদ সজল তাদের হুমকি দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, ইবিতে আন্দোলন শুরুর দিন থেকেই বিরোধীতা করে আসছিল ছাত্রলীগ। প্রতিদিনই আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করতো তারা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা আনন্দ মিছিল করে। কিন্তু বুধবার রাত দশটার দিকে আন্দোলনকারীদের সালাহ উদ্দিন আহমেদ সজল তার রুমে ডেকে নেয়। এসময় তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বিভিন্ন হুমকি দেয়। সকাল দশটার ভেতর তাদের হল থেকে নেমে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়।

শাখা সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন নিয়ন্ত্রিত ওই হল থেকে আন্দোলনকারীদের জোর পূর্বক নামিয়ে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ জনকে হল ছাড়া করা হয়েছে। হল থেকে বের হবার সময় আন্দোলনকারীরা বিজয় সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখায় এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে স্যালুট জানিয়ে বিদায় নেয়।


হল ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কাজী বিল্লাল ও আহসানুর বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে শরিক হওয়াই আমাদের দোষ। নাইম, রাসেল, আশরাফুল, আশিক, সারা দেশে আমাদের ভাই বোনেরা মার খেয়ে রক্তাক্ত হচ্ছে। আমরা এটা সহ্য করতে না পেরে আন্দোলনে শরিক হয়েছি। আমরাও ছাত্রলীগ করি। লালন শাহ হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠায় আমরাই সামনে ছিলাম। অথচ আজ হুমকি দিয়ে আমাদের অপমানিত করা হলো।

এব্যাপারে সজল বলেন, দলীয় কমান্ড ভঙ্গ করায় তাদের হল থেকে নেমে যেতে নির্দেশ দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের আভ্যন্তরিন বিষয়।

এ বিষয়ে শাখা সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে