রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১১:২৪:৩২

ডাক্তার ও নার্সের পরিবর্তে সিরিঞ্জ নিয়ে টিকা দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

ডাক্তার ও নার্সের পরিবর্তে সিরিঞ্জ নিয়ে টিকা দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

কুষ্টিয়া থেকে : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সারা দেশের ন্যায় করোনার টিকা প্রদান উদ্বোধন করা হয়। রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এই কার্যক্রম চলে বিকেল পর্যন্ত।  উদ্বোধনের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষিত নার্স পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনজনের শরীরে করোনার টিকা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রোববার বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিরিঞ্জ হাতে নিয়ে তিনজনের শরীরে টিকা দেন আবদুল মান্নান খান। নার্স ও চিকিৎসকেরা তাকে সহায়তা করেন। তিনজনকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের টিকা দেওয়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সিরিঞ্জ হাতে ধরে ছিলেন, পুশ করেননি। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে তিনি টিকা পুশ করছে এমন কথা বলার পর তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি ওই কক্ষের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি তার জানা নেই। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যে তিনজনের শরীরে করোনার টিকা পুশ করেছেন তারা হলেন, কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী মোখলেছুর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিক কে এম আর শাহীন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টিকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ইনজেকশন দেয়ার সময় আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম, কে ইনজেকশন দিয়েছেন আমি বুঝতে পারিনি তবে আমি সুস্থ আছি আমার কোন সমস্যা হয়নি। কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মখলেছুর রহমান বলেন, জীবনের প্রথম ইনজেকশন নিয়েছি কে ইনজেকশন দিয়েছে বুঝতে পারিনি তবে পরে ভিডিওতে দেখলাম উপজেলা চেয়ারম্যান ইনজেকশন দিচ্ছে। তবে আমি সুস্থ আছি কোন সমস্যা নেই।

সাংবাদিক কেএমআর শাহিন বলেন, আমার ইনজেকশন নার্স দিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান শুধু সিরিঞ্জ ধরে ছিলো। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''এটা কোনোভাবেই তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) করতে পারেন না। করোনা টিকা দেওয়ার জন্য নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারাই টিকা প্রদান করতে পারেন। অন্য কারও টিকা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।'' ঘটনাটি জানার জন্য আবদুল মান্নান খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে