বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:৫৬:৪৩

অবশেষে স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন তিনি

অবশেষে স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন তিনি

নাটোর থেকে: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ানপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে অনশনরত গাজীপুরের রিদিশা লিট কম্পোজিট গার্মেন্টস শ্রমিক মোছা. লিপি খাতুন (২০) অবশেষে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মিদের হস্তক্ষেপে ফিরে পেয়েছেন স্ত্রীর মর্যাদা।

নওগার পত্নীতলা উপজেলার চকমহিষ গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের মেয়ে অনশনরত গার্মেন্টস শ্রমিক লিপি খাতুন জানায়, সে আটমাস পূর্বে গাজীপুরের রিদিশা লিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে গাজীপুরের স্কোয়ার গারমেন্টস শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২২) তাকে বিভিন্ন প্রতারণামূলক আশ্বাসসহ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।

অবশেষে তার সাথে প্রতারণা পূর্বক বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কেটে পড়লে অসহায় লিপি খাতুন ২২ এপ্রিল গাজীপুর থেকে সরাসরি প্রেমিকের পালক পিতা মহরম আলীর বাড়িতে এসে ঘটনা খুলে বললে রাসেলের অনুপস্থিতিতেই স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দাবী জানিয়ে অনশন করত থাকে।

খবর পেয়ে ২৩ এপ্রিল উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও চলনবিল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আতাহার হোসেনের নেতৃত্বে বিশিষ্ট সাংবাদিক জালাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমানসহ তিন সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অসহায় অনশনরত মেয়েটিকে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ প্রেমিকের পালক পিতা মহরম আলীর বাড়ি থেকে আপন পিতা আইয়ুব আলীর বাড়িতে অনশনরত লিপিকে তুলে দেন। সেই সাথে তার ছেলেকে হাজির করার নির্দেশ দেয় পুলিশ।

অবশেষে মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক রাসেল বাড়িতে আসলে বুধবার সন্ধ্যায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে গার্মেন্টসের কাজে যোগদানের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রওনা দেয় গাজীপুরে।

উল্লেখ্য, স্ত্রীর মর্যাদা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে লিপি খাতুন তার প্রেমিকের বাড়িতেই প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করার ঘোষণা দিয়েছিল।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে