রংপুর: রংপুরে চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলায় বেঁচে থাকা একমাত্র আসামি স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ভৌমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঘটনার মাত্র ১০ মাসের মাথায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর দুই আসামি দীপার পরকীয়া প্রেমিক কামরুল ইসলাম রংপুর কারগারে ১০ নভেম্বর রহস্যজনকভাবে মারা যান এবং রথিশের সহকারী মিলন মোহন্ত গত বছর ১৪ এপ্রিল মারা যান হাসপাতালে।
নিহত বাবু সোনা জাপানি নাগরিক হোসিও কোনি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সরকার পক্ষের প্রধান কৌসুলী, রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পিপি এবং জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে, আজ সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয় দীপা সরকারকে।
আদালত সূত্র জানিয়েছেন, গত বছরে ২৯ মার্চ রাত ১০টার দিকে রংপুর মহানগরীর তাজহাট বাবু পাড়ায় অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ভৌমিক এবং তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম ও তার সহযোগী মিলন মোহন্ত। এরপর রথীশের বিছানায় দীপা ও কামরুল রাত কাটায়। তারা পরের দিন ৩০ মার্চ সকাল ১১টার মধ্যে দিনের আলোতে বাড়ির আলমারিতে লাশ ভর্তি করে বাইরে বের করে গুমের উদ্দেশ্যে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় রথীশের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক একটি হত্যা মামলা করেন।