মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯, ০৯:০৯:১৪

চোখের জলে প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধুকে বিদায় জানাল রংপুরবাসী

চোখের জলে প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধুকে বিদায় জানাল রংপুরবাসী

রংপুর থেকে : নানা নাটকীয়তা আর জল্পনা-কল্পনার সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার নিজভূমে পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়েছে। 

চোখের জলে প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীসহ রংপুরবাসী। মঙ্গলবার বিকাল মিনিটের দিকে পল্লী নিবাসের লিচুবাগানে তার দাফনের কাজ শুরু হয়। বিকাল ৬টা ১১ মিনিটে দাফন সম্পন্নের ঘোষণা দেয়া হয়। 

এ সময় পল্লী নিবাসে হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হন তাদের প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাশের গাড়িতে উঠে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে পল্লী নিবাসে পৌঁছেন। 

এতে রংপুর সেনানিবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেন। পরে মরদেহের কফিনে এরশাদের সেনাবাহিনীর র‍্যাঙ্ক ব্যাজ, ক্যাপ দিয়ে জাতীয় পতাকা ও সেনাবাহিনীর পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করে।

পরে মরদেহ কবরের পাশে নিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে এরশাদের ছেলে সাদ, ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার ও মহাসচিব রাঙ্গা কবরে লাশ নিয়ে নামেন। 

এরপর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে ধীরে ধীরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় পার্টির নেতারা কবরে মাটি দিয়ে দোয়া করেন। এ সময় রংপুরের রাস্তার দুই ধারে হাজারো মানুষ অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান তাদের প্রিয় নেতাকে।

এর আগে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে এরশাদকে দাফন করার কথা থাকলেও রংপুরের মানুষের প্রবল দাবি ও ভালোবাসায় শ্রদ্ধা রেখে পল্লী নিবাসেই তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে দাফন করার আগে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

আজ মঙ্গলবার রংপুরে এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজার পর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসেই এরশাদকে দাফন করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

এর আগে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে নিজ এলাকা রংপুরেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পার্টির সিনিয়র নেতারা এরশাদকে সমাহিত করার বিষয়ে চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্ত নেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে