রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জের গ্রামে গ্রামে কেবলই স্বজনহারা মানুষের আহাজারি। ভোর বেলা কয়েকজন ব্যবসায়ী বন্ধু তাদের পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে নিয়ে বেড়াতে রাজশাহী গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মারা গেছেন মাইক্রোবাসের চালকও। যাদের সবার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বড় মজিদপুরের ফুল মিয়াসহ পরিবারের ৫ জনের কেউ বেঁচে নেই। স্ত্রী নাজমা, ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল, দ্বিতীয় শ্রেণির সুমাইয়া আর ৪ বছরের সাবিহাকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা।
নিহতের স্বজনরা বলেন, আমার বড় ভাই ছিল, আমার ভাবি ছিল। তিনটা বাচ্চা ছিল আমাদের। দুই বোন গেছিল, আমার বোন জামাই গেছিল আর আমার ছোট বোনের দুইটা বাচ্চা গেছিল।
ফুল মিয়ার মতো রাজারামপুর গ্রামের সালউদ্দিন, তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ৮ বছরের ছেলে সাজিদ, দেড় বছরের শিশু সাফা, শ্যালিকা কামরুন্নাহার, দড়িকাপাড়া গ্রামের মোখলেসার, তার স্ত্রী পারভীন ও ৪ বছরের ছেলে পাভেল, থানাপাড়ার ব্যবসায়ী ভূট্টু, স্ত্রী মুক্ত ও ১৪ বছরের ছেলে ইয়াসিন এবং দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুলকে হারিয়ে পাগল তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশীরা বলেন, রাজশাহীর একটা মাজার দেখতে ছোট ভ্রমণের জন্য সকালে বের হয় তারা। তিনটা ফ্যামিলি সহ ওরা মোট ১৩ জন ছিল আর একজন সাথে ছিল।
পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কয়েক জন ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চালক হানিফসহ সবাই মারা যান।