বুধবার, ০৯ জুন, ২০২১, ০৭:২৮:০৩

স্বামীর অফিসে গিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

স্বামীর অফিসে গিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

রংপুরের তারাগঞ্জে এনজিও ব্র্যাকের কার্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অফিস স্টাফদের উপস্থিতিতে বুধবার (৯ জুন) সকালে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। হাফিজা খাতুন নামে ত্রিশোর্ধ্ব ওই নারী ব্র্যাকের বুড়িরহাট শাখার পিও নুর আলমের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নুর আলম ও তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন গত ৬ মাস থেকে কুর্শা ইউনিয়নের বসপাড়া গ্রামের জবুর আলীর ভাড়া বাসায় থাকতো। প্রায়ই তাদের ঝগড়া-ঝাটি হতো। গত ৪ জুন স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে হাফিজা তার বাবার বাড়িতে চলে যান। রাগ কমলে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি বাসায় ফিরে আসলেও দেখেন ঘরে কোনো জিনিসপত্র নেই। বুধবার সকালে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে ওই অফিসে গিয়েছিলেন হাফিজা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নারী।

ব্র্যাকের ওই শাখার ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম তাদের কার্যালয়ের গেস্ট রূমে হাফিজার আত্মহত্যার ঘটনা স্বীকার করে জানান, বুধবার সকালে অফিস স্টাফদের সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে অফিসের গেস্ট রূমে কেউ ফাঁসি নিয়েছেন শুনে তারা সেখানে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

হুমায়ূন সরকার লরেন্সসহ এলাকার অনেকেই বলেন, নুর আলমের সঙ্গে ওই এলাকার এক নারীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যার কারণে হাফিজার সাথে নুর আলমের প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো। সেই জন্য হাফিজা অফিস স্টাফের কাছে বিচার দাবি করে না পেয়ে অফিসের সকল স্টাফের উপস্থিতিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

হাফিজা খাতুনের স্বামী নুর আলম বলেন, আমি অফিসে উপস্থিত ছিলাম না। সে অফিসে এসে স্টাফদের সাথে কথা বলে কিভাবে আত্মহত্যা করেছে আমার জানা নেই। আমার অফিস স্টাফরাই ভালো বলতে পারবেন।

হাফিজার বাবা তৈয়ব আলী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে নানাভাবে আমার মেয়ে হাফিজাকে নির্যাতন করে আসছেন নুর আলম। একটি ছেলে সন্তান জন্মের ৬ বছর পরে মারা যায়। সেই সময় থেকে আরও বেশী নির্যাতন শুরু করেন নুর আলম। আমার মেয়ের তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করছি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে