শুক্রবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ০৯:৩৯:৪০

নিজে ধ'র্ষণ করল তারপর আরো ৩ জনের কাছে দিয়ে দিল নিজের প্রেমিকাকে

নিজে ধ'র্ষণ করল তারপর আরো ৩ জনের কাছে দিয়ে দিল নিজের প্রেমিকাকে

এমটিনিউজ ডেস্ক : প্রেমিকের বি'রুদ্ধে এক জঘ'ন্য অভি'যোগ আনল এক প্রেমিকা। ঘ'টনাটি সাতক্ষীরার আশাশুনিতে। প্রেমিকাকে ধ'র্ষ'ণের পর তিনজনের কাছে ছেড়ে দেওয়ার অভি'যোগ উঠেছে এক প্রেমিকের বিরু'দ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেমিক মাছুম বিল্লাহসহ চারজনের বিরু'দ্ধে মা'মলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযু'ক্ত মাছুম বিল্লাহ তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মোমতাজ গাইনের ছেলে। তিনি অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার তিন সহযোগী হলেন- দরগাপুর গ্রামের সাহেদ বাবু, রশিদ ও শাহিনুর রহমান।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা-মা ইটভাটায় কাজ করেন। ২০১৯ সাল থেকে মাছুম বিল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যমে মেয়েটিকে প্রেমের প্র'স্তাব দিয়ে আসছিলেন। একপ'র্যায়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই স্কুলছাত্রী বলে, পুলিশে চাকরি করার স্বপ্ন ছিল আমার। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তু'ত করছিলাম। আমার বাবা-মা ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। মাছুম বিল্লাহর বাবার ফার্মেসির দোকান রয়েছে। আমার পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সম্পর্কটি স্থায়ী হবে না ভেবে আমি সম্পর্কটি ছিন্ন করার চিন্তা করে তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। 

৬ মাস আগে মাছুম আমাকে শেষবারের মতো দেখা করার কথা জানালে আমি শ্রীমন্তকাটিতে তার চাচার বাড়িতে দেখা করি। সেখানে আমাকে ধ'র্ষ'ণ করে ঘ'টনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয় মাছুম। আমি কাউকে বলার সাহস পাইনি। এমনকি আমাকে স্কুলে যেতেও বাধা সৃষ্টি করছিল। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হু'মকি দিয়ে আসছিল। বিভিন্ন সময় ভ'য় দেখিয়ে আমার সঙ্গে অনৈ'তিক কাজ করেছে। 

সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি সংঘব'দ্ধ হয়ে ধ'র্ষ'ণের চেষ্টা করেছে জানিয়ে ওই স্কুলছাত্রী বলে, আমার বাবা-মা ইটভাটায় কাজ করছে জেনে দুপুর আড়াইটার দিকে আমাদের বাড়িতে আসে মাছুম বিল্লাহ। তারপর আমাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে অনৈ'তিক কাজ করে। এরপর একে একে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে সাহেদ বাবু, রশিদ ও শাহিনুর। তারা আমাকে ধ'র্ষ'ণের চেষ্টা চালায়। আমি বাধা দিলে আমাকে চড়, কিল, ঘুষিসহ কামড়ে দেয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে। আমি চিৎকার করলে পাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় তারা পালিয়ে যায়। 

ভুক্তভোগী মেয়েটি বলে, আমার মাকে মা ডাকতো মাছুম বিল্লাহ। সে আমার জীবন নষ্ট করে দিল। আমি তার শাস্তি চাই।  এদিকে অভিযো'গের বিষয়ে জানতে মাছুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত তিনটি ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল রহমান বলেন, এ ঘ'টনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ধ'র্ষণ ও ধ'র্ষণচেষ্টার অভি'যোগে মা'মলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে