বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০২:০৪:১১

গুহার চার কিলোমিটার ভিতরে ১৭ দিন কী খেয়ে বেঁচেছিল তারা?

গুহার চার কিলোমিটার ভিতরে ১৭ দিন কী খেয়ে বেঁচেছিল তারা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  একবেলা না খেয়ে থাকার যন্ত্রণাই অনেকের সহ্য হয় না। সেখানে টানা ১৭ দিন গুহার অন্ধকারে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে ছিল ১২ কিশোর ও তাদের তরুণ বয়সী কোচ। স্থানীয় ফুটবল দলের ১২ শিশু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তাদের কোনো খোঁজই মিলছিল না। গুহার ভিতরে ডুবুরি দিনের পর দিন খুঁজে চলেছিলেন যদি কোনো সন্ধান মেলে। এক সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন তারা হয়তো আর বেঁচে নেই। মৃতদেহ স্বজনদের হাতে পৌঁছে দেওয়াটাই তখন একমাত্র চেষ্টা। 

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৯ দিনের মাথায় দুই ব্রিটিশ ডুবুরি ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে দেখতে পান। শান্ত ও সুস্থ দেহে তাদের দেখতে পেয়ে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যান দুই ব্রিটিশ ডুবুরি। সেই ভিডিও চিত্র ধারণ করে যখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় বিশ্ববাসী বিশ্বাস করতে পারছিল না! তখনই প্রথম জানা যায় যে, তারা থাম লুয়াং নামের ওই গুহার আড়াই মাইলেরও বেশি গভীরে আটকা পড়ে আছে। এই ৯ দিন তারা পাহাড়ের ভেতরে চুইয়ে পড়া ফোঁটা ফোঁটা পানি পান করেছিল। 

ফুটবল দলের একজন সদস্যের জন্মদিন উপলক্ষে তারা যে শুকনো খাবার সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল সেসব খেয়ে এবং মেডিটেশন বা ধ্যান করেই তারা এতদিন নিজেদের জীবন রক্ষা করেছে। এই কিশোর ফুটবলারদের কোচ বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার কমে যাওয়ার আশঙ্কায় গুহার ভেতরে এসব খাবার খেতে রাজি হননি। তাই গুহার ভিতর ব্রিটিশ ডুবুরিরা দেখেন, শারীরিকভাবে সবচেয়ে দুর্বল ছিলেন কোচ একাপল। ব্রিটিশ ডুবুরিরা ফেরত আসার পর গুহায় আটকে পড়ার ১০ দিনের মাথায় বাইরে থেকে খাবার পাঠাতে শুরু করেন। এসব খাবারের মধ্যে ছিল, সহজে হজম হয় এরকম খাবার, শক্তিদায়ক খাদ্য যেগুলোতে মিনারেল ও ভিটামিন মেশানো হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে