মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৫১:৫২

পরীক্ষামূলক দৌড়েই চমকে দিল, দ্রুত গতিতে ছুটে চলছে ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন!

  পরীক্ষামূলক দৌড়েই চমকে দিল, দ্রুত গতিতে ছুটে চলছে ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তড়িত্ গতিতে ছুটে চলেছে ঝাঁ চকচকে ট্রেন। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ট্রেন-১৮ পরীক্ষামূলক দৌড়েই চমকে দিল। ফেসবুকে সেই ভিডিও পোস্ট করে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল লিখেছেন, ট্রেন-১৮-এর গতি যুগান্তকারী। মোরাদাবাদ-বরেলি রুটে সফলভাবে উতরে গিয়েছে ট্রেন ১৮। সম্পূর্ণভাবে পরিষেবা দেওয়ার পথে আরও একধাপ পার করল। আধুনিকীকরণের পথে আরও একধাপ এগোল ভারতীয় রেল।

গত ২৯ অক্টোবর চেন্নাইয়ে প্রথমবার চালানো হয় ট্রেন ১৮। ট্রেনটি ধীর গতিতে চালানোর সময় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। রেলমন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক দৌড়ের সময় খুঁটিনাটি কিছু সমস্যা থাকেই। 

মেক ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় চেন্নাইয়ে রেলের কারখানায় সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ট্রেন-১৮। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এই ট্রেন। রেলওয়ে সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই পাকাপাকিভাবে পরিষেবা শুরু করবে ট্রেন ১৯। তিন দশক ধরে পরিষেবা দেওয়া দিল্লি-ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিবর্তে আনা হচ্ছে ‘ট্রেন ১৮’। 

বাড়তি কী সুবিধা থাকছে ইঞ্জিন বিহীন ট্রেনটির? ‘সেল্ফ প্রপলেড ইঞ্জিনলেস’ ট্রেনটি শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ১৫ শতাংশ কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। এমনকি ব্রেক কষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বিদ্যুত খরচ কম করবে ট্রেনটি। মোট ১৬টি কামরার ১১২৮টি আসন রয়েছে। এখন সবকটি ‘চেয়ার কার’। পরবর্তীকালে বেশ কিছু কামরা স্লিপার ক্লাসে রূপান্তরিত করা হবে। জানা যাচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেসে পরিবর্তে এমনই ‘ইন্টারসিটি ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট’ ট্রেন আনা হবে।

এদিকে শোনা যাচ্ছে, ট্রেন ১৮-এর মতোই এবার ট্রেন ২০ তৈরি করছে ভারতীয় রেল। সেক্ষেত্রে মুম্বই-আহমদাবাদ বুলেট ট্রেন ছোটার আগেই দেশে দৌড়বে 'মিনি বুলেট ট্রেন'। রাজধানীর পরিবর্তে চালানো হতে পারে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র এই ট্রেন। ট্রেন ১৮ এর মতোই ট্রেন ২০-র গতিবেগ প্রতিঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। তবে পরীক্ষামূলক সফরে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেনটি চালানো হবে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে হাওড়া আসতে রাজধানী ট্রেনে বর্তমানে যে সময় লাগে তার চেয়ে ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট কম লাগবে ট্রেন ২০-তে। ট্রেনে থাকবে ২০টি কোচ। 

পুরোদস্তুর মেট্রো ট্রেনের মতো হবে টি-২০। স্বয়ংক্রিয় দরজা ও ওয়াইফাইয়ের সুবিধা থাকবে। ট্রেনের দু'প্রান্তেই থাকছে চালকের কেবিন। ফলে প্রান্তবদলের সময় নষ্ট হবে না। প্রাথমিকভাবে চেন্নাইয়ের কারখানায় তৈরি হচ্ছে দুটি টি-২০। এরপর ২৪টি ট্রেন তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে রেল।একটা ট্রেন তৈরির খরচ প্রায় ৬ কোটি টাকা। রেলের আশা, হাইস্পিড ট্রেন থেকে আয় বাড়বে। ২০২০ সালে ট্রেন ২০ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে বলে খবর। অর্থাত্ বুলেট আসার আগেই দৌড়বে টি-২০।-জিনিউজ 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে