বুধবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৭:৪২:৩৮

সৌদি নারীদের দাসীর মতো ব্যবহার করা হয়: ধর্মত্যাগী কিশোরী

সৌদি নারীদের দাসীর মতো ব্যবহার করা হয়: ধর্মত্যাগী কিশোরী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবে নারীদের সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পালিয়ে আসা সৌদি কিশোরী রাহাফ মোহাম্মদ। বুধবার তার ‘নতুন দেশ’ কানাডায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির।

এর আগে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে আসেন রাহাফ। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার পথে থাই কর্তৃপক্ষ তাকে আঁটকে দেয়।

সৌদি আরবের অনুরোধে ব্যাংকক থেকে রাহাফকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলো থাই কর্তৃপক্ষ। পরে বিমানবন্দরে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখলে বিশ্ব গণমাধ্যমে শিরোনাম হন এই কিশোরী। বিষয়টি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার নজরে এলে কানাডায় আশ্রয় লাভ করেন রাহাফ।

বুধবার রাহাফ বলেন, স্বাধীন জীবনের জন্য অনেক ঝুঁকি নিয়ে সৌদি আরব থেকে পালিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পালাতে না পারা অনেক নারী ধুঁকে ধুঁকে জীবন কাটাচ্ছেন সৌদিতে। থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরত পাঠালে আত্মহত্যা করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন তিনি।

‘আমাদের সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করা হতো। আমরা যেন তাদের সম্পত্তি। আমি মানুষকে আমার গল্প বলতে চাই। জানাতে চাই সৌদিতে নারীদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে।’

সৌদি আরবের অভিভাবকত্ব আইন অনুযায়ী বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে শুরু করে সব কাজের জন্য পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি নিতে হয় মেয়েদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ থেকে সৌদি থেকে পালিয়ে আসার ঘটনা ঘটছে। ৮ মাস আগে সালওয়া নামে আরেক সৌদি তরুণী পালিয়ে এসে কানাডায় আশ্রয় নেন।

ভাইয়ের হাতে শারিরীক নির্যাতনের শিকার হন বলেও জানান রাহাফ। তিনি বলেন, ‘ছোট করে চুল কাটার কারণে আমাকে ছয় মাস একটি কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়। বলা হয়, পুরুষের মতো চুলকাটা ইসলামে জায়েজ নেই।’

রাহাফ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন তিনি। সৌদি আরবে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে