বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯, ০৮:১০:০৪

'জ.ঙ্গি দমনে সাফল্য আসছে ঠিকই, কিন্তু অফিসার-জওয়ানদের প্রা.ণের বিনিময়ে'

'জ.ঙ্গি দমনে সাফল্য আসছে ঠিকই, কিন্তু অফিসার-জওয়ানদের প্রা.ণের বিনিময়ে'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি দমনে সাফল্য আসছে ঠিকই, কিন্তু অফিসার-জওয়ানদের প্রা.ণের বিনিময়ে। প্রতি দুজন জঙ্গিকে শেষ করতে প্রাণ হারাতে হচ্ছে গড়ে এক জন সেনা জওয়ানকে। গত পাঁচ বছরে অফিসার-জওয়ানদের মৃ.ত্যুর সংখ্যা এ ভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারত সরকার।

নরেন্দ্র মোদি সরকার পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরে জঙ্গি সমস্যা মেটাতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি হাতে নেয়। জ.ঙ্গি দমনে শুরু হয় বাড়ি-বাড়ি ঢুকে তল্লাশি। এতে জঙ্গি দমনে সাফল্য এলেও যে ভাবে সেনা-আধাসেনারা সরাসরি সং.ঘর্ষে মারা যাচ্ছেন তা উদ্বেগের বলে ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছে সরকার।

আজ দিল্লীতে লোকসভায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানানো হয়েছে গত পাঁচ বছরে ওই রাজ্যে ৯৬০ জন জ.ঙ্গি নি.হত গিয়েছে। অন্য দিকে নি.হত হয়েছেন প্রায় ৪১৩ জন সেনা জওয়ান। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতে, এর প্রধান কারণ জ.ঙ্গি দমনে নিরাপত্তাবাহিনীর সক্রিয়তা। তৎপরতা বাড়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। 

তাছাড়া একাধিক সেনা ছাউনিতে হা.মলা, সীমান্তে গুলি বিনিময়ের মতো ঘটনাতেও নিরাপত্তাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দাবি, প্রাণের বিনিময়ে সীমান্তে কড়া হাতে অনুপ্রবেশ আটকানোয় গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছ’মাসে জ.ঙ্গি অনুপ্রবেশ প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গিয়েছে।

এরই মধ্যে আজ শ্রীনগর থেকে বশির আহমেদ পোন্নু নামে এক জইশ জঙ্গিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ২০০৭ সালে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে পুলিশের সঙ্গে সং.ঘর্ষের পরে গ্রেফতার হয় বশির এবং আরও তিন জ.ঙ্গি শাহিদ গফুর, ফয়াজ় আহমেদ লোন ও আব্দুল মজিদ বাবা। দায়রা আদালত বশিরকে মুক্তি দেওয়ার পরে গা ঢাকা দেয় সে। 

দিল্লি হাইকোর্ট দায়রা আদালতের রায় খারিজ করে। তার পর থেকেই ফের বশিরকে খুঁজছিল পুলিশ। অন্য দিকে বারামুলা থেকে আজ আকিব হাজাম ও আকিব শাল্লা নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তাদের দাবি, ওই দুই যুবক জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার ছক কষছিল। 

ওই দুই যুবক জ.ঙ্গি কার্যকলাপের উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করতে তাদের সামির আহমেদ নামে ব্যবসায়ীকে খু.ন করার ভার দিয়েছিল জঙ্গি নেতারা। জ.ঙ্গিদের সন্দেহ ছিল সামির বাহিনীর চর। ৩০ জুন সামিরকে খু.ন করে হাজাম, শাল্লা ও তাদের তৃতীয় সহযোগী উজ়েইর আমিন। ওই ঘটনার পরেই আমিন জ.ঙ্গি দলে যোগ দেয়। সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে