শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ০১:০৪:৪৫

কাশ্মির ইস্যু পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়: জাতিসংঘে চীনকে ধমকালো ভারত

কাশ্মির ইস্যু পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়: জাতিসংঘে চীনকে ধমকালো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের চীনের অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় একপ্রকার ধমকের ভাষায় ভারত জানিয়েছে, ৩৭০ ধারা নিয়ে ভারতের জাতীয় অবস্থান যা ছিল সেটাই থাকবে এবং এটি পুরোপুরিই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। 

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবর উদ্দিন বলেন, জম্মু ও কাশ্মির থেকে ধীরে ধীরে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বদ্ধপরিকর সরকার এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর শুক্রবার চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় এর ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না। 

বৈঠকে হাজির হয়নি ভারত ও পাকিস্তান। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে শুধু পাঁচ স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য। বৈঠক শেষে চীনা দূত জানান, কাশ্মির পরিস্থিতি ভ'য়াব'হ ও বিপ'জ্জনক। ভারত সরকারের এমন ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত ‘বৈধ নয়’। 

জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোদি নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির ইস্যুতে বৈঠক আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বৈঠক আয়োজনে চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। 

তিনি বলেন, আজ কাশ্মিরি মানুষের কথা শোনা হয়েছে। তারা একা না। জম্মু-কাশ্মিরের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা প্রস্তুত। এই বৈঠকে প্রমাণিত হয়েছে জম্মু-কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। চীনা দূত মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এটাই একমাত্র ও শেষ পদক্ষেপ না।

ভারতীয় দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, জম্মু-কাশ্মির এবং লাদাখের বাসিন্দাদের ভাল পরিষেবা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া ছাড়া ভারত সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের অন্য কোনও অর্থ নেই। এটাই আমাদের আইনসভা সুনিশ্চিত করতে চায়।

পাকিস্তানের সমালোচনা করে ভারতীয় দূত বলেন, তারা চেষ্টা করছে, সতর্কতামূলক পরিস্থিতি তুলে ধরতে। যা প্রকৃত সত্য থেকে বহুদূরে। পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট উদ্বেগ হলো জিহাদ শব্দটি ব্যবহার করছে একটি রাষ্ট্র এবং তাদের নেতারা ভারতে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে।

বৈঠকে শুরু আগে রাশিয়ার ডেপুটি স্থায়ী সদস্য দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, মস্কো মনে করে এটি ভারত ও পাকিস্তানের ‘দ্বিপাক্ষিক বিষয়’। কী হচ্ছে, সেটা জানার জন্যই বৈঠকে আয়োজন করা হয়েছে। এই কারণেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক। রাশিয়া যা ভাবছে সেটা হল, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পক্ষে। আপনারা জানেন, আমাদের অবস্থান। এর বদল হবে না। আজ রুদ্ধদ্বার আলোচনা হবে এবং আমরা মত বিনিময় করব এবং দেখব আমরা কী করতে পারব এবং কী করতে পারব না। এটা স্বাভাবিক বিষয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে