মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০৯:৫৬:৪৩

কিশোরকে অ'পহ'রণ করে ৪০ দিন যৌ'নদা'স হিসেবে ব্যবহার ৩৮ বছরের নারীর

কিশোরকে অ'পহ'রণ করে ৪০ দিন যৌ'নদা'স হিসেবে ব্যবহার ৩৮ বছরের নারীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩৮ বছর বয়সী নারী ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে অ'পহ'রণ করার পর ৪০ দিন তাকে যৌ'নদা'স করে রেখেছিল। অবশেষে ওই নারীর হা'ত থেকে মু'ক্তি পেয়েছে কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রে।

অ'পহ'রণের দায়ে সোমবার ওই নারীকে মুম্বাই থেকে গ্রে'ফতার করেছে দেশটির পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, বনভোজন থেকে কৌ'শলে কিশোরকে অ'পহ'রণ করেন ওই নারী। তাকে নানা ধরনের প্র'লো'ভন দে'খিয়ে নিয়ে যান। 

পরে দিল্লিসহ বেশ কিছু স্থানে আ'টকে রেখে নিজের শা'রী'রিক চা'হিদা পূ'রণ করেন ওই নারী। গত ২ জুলাই নি'খোঁ'জ ছেলে উ'দ্ধারে মহারাষ্ট্রের নেহরুনগর পুলিশ স্টেশনে ডা'য়েরি করে কিশোরের বাবা। এছাড়া অ'পহ'রণের মা'মলাও দায়ের করেন তিনি। 

এদিকে গ্রে'ফতার নারী সায়রা বানুর স্বামীও স্ত্রী নি'খোঁ'জের ঘ'টনায় ডায়েরি করেন। তারা উভয়ই মুম্বাইয়ের কুরলার বাসিন্দা। গ্রে'ফ'তার ওই নারীর চার সন্তান রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে দুই পক্ষ থেকে ডা'য়েরি ও মা'মলা হওয়ার পর পুলিশ ত'দন্ত শুরু করে। 

দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য নেয়ার পর সোমবার সায়রার মায়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান স'ম্পর্কে জানা যায়। অ'ভি'যান চালিয়ে ঘ'টনাস্থল থেকে ওই নারীকে গ্রে'ফতার করে পুলিশ।

গ্রে'ফতার ওই নারীকে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত জে'ল হে'ফা'জতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কিশোরকে উ'দ্ধা'রের পর তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ঘটনা নিয়ে তাকেও জি'জ্ঞাসা'বাদ করা হয়েছে।

ওই কিশোর জানিয়েছে, ‘মুম্বাইয়ে প্রতিদিনই আমাদের কথা হত। আমরা প্রতিবেশী ছিলাম। একদিন আমাকে বনভোজনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায় সায়রা। আমরা দিল্লি যাই। সেখানে গিয়ে সায়রা জানায়, দিল্লিতে সে ভাড়াবাড়ি নিতে চায়। এরপর গয়না বিক্রি করতে শু'রু করে।’

তবে জমানো টাকা সব খরচ হওয়ায় তাকে তিনদিন না খা'ইয়ে রেখেছিল বলে অ'ভি'যোগ করেছে ওই কি'শোর। সে বলছে, ‘এরপর সায়রা আমাকে নিয়ে ভ'দো'দরা যায়। সেখান থেকে নব'সারী। এরপর একটি কাপড়ের দোকানে কাজ পায় সে। বেতন ৭০০০ টাকা। আমিও ছোটখাট কাজ করে টাকা উপার্জন করছিলাম। এরপর সায়রা বাড়ি বাড়া নেয়। আমার ওপর শু'রু হয় অ'ত্যা'চার।’

নি'র্যা'তনের বর্ণনা দিয়ে কিশোর জানায়, ‘আমাকে একা কোথাও যে'তে দিত না। গত ৪০ দিন রাতে ভাল করে ঘুমাতে পারিনি। যৌ'ন চা'হিদা মেটাতে সায়রা আমাকে রাতে ঘু'মাতে দিত না। এমনকি আমাকে সবার সামনে স্বামী বলে পরিচয় করিয়ে দিত।’

কিশোরের বলে, ‘এসব নিয়ে অ'স্ব'স্তি হতো আমার। তাই সায়রাকে মুম্বাই আনার জন্য একটা প'রিক'ল্পনা করেছিলাম। তাকে বলি তোমাকে বিয়ে করব। কিন্তু মুম্বাই যেতে হবে। গুজরাটে থাকতে পারবো না। সায়রা রাজি হয়ে যায়। অবশেষে আমি মু'ক্তি পেয়েছি।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে