বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯, ০১:২৪:৩৭

অভিনন্দনকে মেরে র'ক্তা'ক্ত করা সেই পাক কম্যান্ডারকে গু'লিতে ঝাঁঝরা করে দিল ভারতীয় সেনা!

অভিনন্দনকে মেরে র'ক্তা'ক্ত করা সেই পাক কম্যান্ডারকে গু'লিতে ঝাঁঝরা করে দিল ভারতীয় সেনা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানি যু'দ্ধবিমান থেকে ধেয়ে আসা আ'ঘাতে অকেজো হয়ে পড়ে ভারতের সাতের দশকের পুরানো মিগ-২১ বাইসন জেট। ইজেক্ট করে বেরিয়ে প্যারাশুট ভাসিয়ে তখন পাকিস্তানের মাটি ছুঁয়েছেন ভারতীয় বিমানসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। 

নিচে পড়ে জীবন বাঁচতে তিনি তখন দৌড়চ্ছেন। পথ আগলে দাঁড়ায় লম্বা-চওড়া এক পাক কম্যান্ডার। আহ'ত, র'ক্তা'ক্ত অভিনন্দনকে দেখে তার মুখে হাসি ফোটে, বিদ্রু'পের হাসি। সেনাবাহিনীর মর্যাদা ল'ঙ্ঘ'ণ করেই অভিননন্দনের নাক-মুখ লক্ষ্য করে ঘু'ষি চালাতে শুরু করে এই পাক কম্যান্ডার। 

অভিনন্দনের নাক থেকে গড়িয়ে আসে র'ক্তের ধারা দেখে বাকি পাক সেনাদের সঙ্গে কৌতুক শুরু করে সে। নাম তার আহমেদ খান। পাকিস্তান সেনার স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কম্যান্ডার। ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, যু'দ্ধবন্দি অভিনন্দন বর্তমানের উপর সবচেয়ে বেশি নি'র্যা'তন চালিয়েছিল এই কম্যান্ডার। গত ১৭ আগস্ট নিয়ন্ত্রণ রেখায় এনকাউন্টারের সময় পাক কম্যান্ডার আহমেদ খানকে গুলিতে ঝাঁঝরা করেছে ভারতীয় সেনা।

আহমেদ খান সম্পর্কে ভারতীয় সেনাকে আগেই তথ্যের যোগান দিয়েছে পাক সীমান্ত লাগোয়া হরান গ্রামের অধিবাসীরা। আকাশে চলতে থাকা ভারত-পাকিস্তান বিমানযু'দ্ধের সবটাই দেখেছিলেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। প্যারাশুট ভাসিয়ে নীচে নেমে আসার পরে, গ্রামবাসী ও পাকিস্তান সেনাদের হাতে দফায় দফায় হয়'রানির ঘটনাও তাদেরই চোখের সামনে ঘটেছিল। 

বর্ষীয়াণ এক গ্রামবাসী জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাকে দেখেই রাগে ফুঁসতে শুরু করেন গ্রামের কমবয়সীদের একটা অংশ। প্যারাশুটের বাঁধন থেকে তখনও সবটা বার হতে পারেননি অভিনন্দন, অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়েই সেনা কম্যান্ডারের উপর ঝাঁ'পিয়ে পড়েন তারা। 

ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে আসতে থাকে পাথর। ক্ষ'তবিক্ষ'ত হতে থাকেন অভিনন্দন। লাথিও মারেন কেউ কেউ। এতো অত্যাচারের পরেও কোনও মানুষকে আ'ঘা'ত করেননি অভিনন্দন, বরং শূণ্যে গুলি ছুঁড়েছিলেন। এর পরের ঘটনা ছিল আরও ম'র্মা'ন্তিক। পাক সেনারা এসে অভিনন্দনকে তুলে টেনে হিঁচড়ে তুলেছিল।

পাক কম্যান্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে আগেই ছিল এই আহমেদ খান। সেই অভিনন্দনের হাত পিছমোড়া করে বাঁধে, তার চোখে ফেট্টি বেঁধে দেয়। টেনে নিয়ে যাওয়ার আগে, ভারত বিরোধী স্লোগান তুলে অভিনন্দনকে বেধড়ক মারে আহমেদ, লাথি মারে অভিনন্দনের পাঁজরে।

২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পোস্ট করা ছবি ও প্রথম ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল অভিনন্দনের চোখ-মুখে রক্তের ধারা, হাত পিছমোড়া করে বাঁধা, পাক সেনাদের ঘেরাটোপে মাথা উঁচু করে চলেছেন ভারতীয় বিমানসেনার এই জওয়ান। ভারতীয় সেনার দাবি, সেই ছবিতে অভিনন্দনের পিছনে যে পাক সেনাকে দেখা গিয়েছিল, সেই আহমেদ খান। 

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, আহমেদ শুধু পাক স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কম্যান্ডারই ছিল না, পাকিস্তানের জ'ঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ গোষ্ঠীর প্রশিক্ষিত কম্যান্ডারও ছিল। তার কাজ ছিল, জইশ গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করিয়ে ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়া। নওসেরা, সুন্দরবনি ও পাল্লান ওয়ালা সেক্টর দিয়ে একাধিক জ'ঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে সে। 

গত ১৭ আগস্ট, পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাঁটি সেক্টরে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে মর্টার সেল ছুঁড়তে শুরু করে পাক সেনারা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনীও। গোলাগুলির লড়াইতেই প্রাণ যায় আহমেদের। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় পাক সেনা ও জ'ঙ্গি দলের এই কম্যান্ডারকে। সূত্র : দ্য ওয়াল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে