বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৫:২৪

৯/১১ টুইন টাওয়ার হা'মলার ১৮ বছরে বিশ্ব যা যা শিখেছে

৯/১১ টুইন টাওয়ার হা'মলার ১৮ বছরে বিশ্ব যা যা শিখেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে কাল। দ্বিতীয় বিশ্বযু'দ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রে এটাই ছিল বাইরের কোনো বাহিনী বা গোষ্ঠীর প্রথম হা'মলা। 

২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি স্থাপনায় বেসামরিক বিমান ছি'নতাই করে আল-কায়েদার ওই হা'মলার পর বিশ্বের ওপর স'ন্ত্রা'সবাদের রাজত্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। 

৯/১১-এর হা'মলা যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বকে কয়েকটি বিষয় শিক্ষা দিয়েছে। ক্ষমতাধর হলেই যে সেই দেশকে সবাই সমীহ করে চলবে কিংবা সব ধরণের হা'মলা থেকে নিরাপদ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের সেই উচ্চকল্পনাকে হা'মলার মধ্য দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আল-কায়েদা।

কোনো দেশই দুর্ভেদ্য নয় : আল-কায়েদার দু'র্ধ'র্ষ ও নির্ভুল পরিকল্পনা উন্নত থেকে অনুন্নত সব দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটিটি বিশ্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতাধর ও শক্তিশালী দেশ হলে স'ন্ত্রা'সী হা'মলার থেকে সুরক্ষিত হবে সেই মিথ ভেঙ্গে দিয়েছে ৯/১১ এর হা'মলা।

নজরদারিই মূল : স'ন্ত্রা'সবাদসহ যে কোনো অ'পরা'ধ নিয়ন্ত্রণে নজরদারিই মোক্ষম দাওয়াই। এই নজরদারির কাজটি কেবল পুলিশ করলে হবে না, বরং সরকারের সকল নজরদারি বা নিরাপত্তা সংস্থা এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত থাকবে। ৯/১১ হামলার কিছুদিন পর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, পেন্টাগনে হা'মলায় ব্যবহৃত বিমানটির ছি'নতাইকারীদের ওয়াশিংটনের ডালস বিমানবন্দরে দেখা যায়। 

হা'মলাকারীদের দুজনের নাম স'ন্ত্রা'সবাদবি'রো'ধী নজরদারি তালিকায় ছিল। আরেকজনের পরিচয় পত্রে কোনো ছবিই ছিল না। এরপরও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা স্রেফ সাধারণ তল্লাশি করে তাদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই সুবাদে অবাধে তারা বিমানে উঠতে পেরেছিলেন।

গোয়েন্দা তথ্য এড়ানো উচিৎ নয় : বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অধিকারী হচ্ছে যুক্তরাস্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সংস্থাটির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সম্ভাব্য হা'মলার তথ্য ছিল। হা'মলার পর তদন্তে দেখা গেছে, হা'মলার কয়েক মাস আগে তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কন্ডোলিনা রাইস থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল সিআইএ।

এমনকি আল-কায়েদাই যে যুক্তরাষ্ট্রে সুনির্দিষ্টভাবে একাধিক হা'মলা চালাতে যাচ্ছে সেটিও উল্লেখ ছিল প্রতিবেদনে। তবে হোয়াইট হাউজ প্রতিবেদন পাওয়ার পর উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আর এই অবহেলার মাশুল গুনতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজারেরও বেশি মানুষ তথা পুরো বিশ্বকে।

অর্থ যেখানে স'ন্ত্রা'সবাদ সেখানে : প্রতিটি স'ন্ত্রা'সী হা'মলায় দেখা গেছে, হা'মলার সঙ্গে অর্থের যোগসূত্র রয়েছে। ৯/১১ হা'মলার সময় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টির ওপর নজর দেয় নি। হা'মলার পর তদন্তে দেখা গেছে, যারা হা'মলার জন্য বিমান ছিনতাই করেছিলেন তাদের কাছে অর্থ পাঠানো হয়েছিল। 

বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া হামলাটির মাত্র তিন দিন আগে চার কিস্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্থ পাঠানো হয়েছিল। আর এ অর্থ পাঠানো হয়েছিল ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। তবে কোম্পানি কিংবা নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই লেনদেনকে স'ন্দে'হজনক হিসেবে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

স'ন্ত্রা'সবাদে দারিদ্রতা নয় : গবেষণায় দেখা গেছে, ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোতে স'ন্ত্রা'সবাদের বিকাশ বা উৎপত্তি তুলনামুলকভাবে কম। আর্থিকভাবে দুই প্রান্তের দেশগুলোতেই জনগণকে অর্থের পেছনে ছুটতে হয় বেশি। মধ্যম মানের বা মধ্যআয়ের দেশগুলোতে জনগণের মধ্যে এই প্রবণতা তুলনামুলকভাবে কম। তাই দেখা গেছে, মধ্যম শ্রেণির দেশগুলোতে স'ন্ত্রা'সবাদের বিকাশ হয় বেশি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে