আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জিয়াগঞ্জ হ'ত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন চরম উ'ত্ত'প্ত, সেই আবহেই সরাসরি রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশে তোপ দাগলেন সাবেক ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।
রাজ্যের শাসকদলের দাবি, এই হ'ত্যা কোনওভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। কিন্তু, বিজেপি শিবির ইতিমধ্যেই মৃ'ত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালকে নিজেদের সক্রিয় কর্মী ও আরএসএস সদস্য বলে জানিয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে এদিন গৌতম গম্ভীর লিখলেন, “আট বছরের পুত্র সমেত গোটা পরিবারকে অমানবিক, নৃ'শং'সভাবে হ'ত্যা করা হল। বাংলার আইন প্রশাসনের এতটাই অবনতি ঘটেছে যে কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই হ'ত্যালীলা চালানো হচ্ছে। আশা করি, আরএসএস সংস্রবের কারণে মমতা ব্যানার্জী নিশ্চয় দো'ষীদের শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন না।”
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তার স্ত্রী এবং আট বছরের সন্তানকে দুর্গা পুজার দশমীর রাতে নি'র্ম'মভাবে হ'ত্যা করা হয়। এরপরেই রাজনৈতিক উ'ত্তা'প চ'র'মে পৌঁছছে।
বুদ্ধিজীবী মহলের অন্যতম মুখ অপর্ণা সেন মমতার উদ্দেশে টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, অ'প'রা'ধীদের বিচার করা হোক। পাশাপাশি, রাজ্যপাল স্বয়ং বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই ঘটনা রাজ্যের জন্য রীতিমতো উ'দ্বে'গজনক। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতিরই ছবিই প্রতিফলিত হয়েছে এই ঘটনায়।
গোটা ঘটনায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে রাজ্যের ক্ষু'ব্ধ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার রাজ্যপালকে “রাজনৈতিক মন্তব্য” করা থেকে বিরত থাকার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন।
রাজ্য বিজেপি যে এই ইস্যুকে হা'তিয়ার করে পথে নামতে চলেছে, তা ঘটনাপ্রবাহেই স্পষ্ট। এমন উ'ত্ত'প্ত আবহেই গৌতম গম্ভীরের মতো ক্রিকেট তারকার এই ফেসবুক পোস্ট বিতর্কে ইন্ধন যুগিয়েছে।