শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ০৬:৫৯:৫১

বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ সদস্য নিহ'তের ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমে ক্ষু'ব্ধ প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ সদস্য নিহ'তের ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমে ক্ষু'ব্ধ প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজশাহী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির গু'লিতে একজন ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ সদস্য নিহ'ত হবার ঘটনাটি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে খুব একটা গুরুত্ব না পেলেও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।

ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে শুক্রবার প্রথম পাতায় স্থান করে নিয়েছে এই খবরটি। ঘটনা সম্পর্কে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিএসএফ-এর দেয়া ভাষ্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যদিও একই সংবাদে তারা বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ভাষ্যও যুক্ত করেছে।

তবে বিজিবি এবং বিএসএফ-এর দাবি পরস্পরবি'রো'ধী। বিজিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথমে বিএসএফ-এর তরফ থেকেই গু'লি করা হয়, অন্যদিকে বিএসএফ বলছে তাদের জওয়ানরা গু'লি করেনি।

ভারতের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রথম পৃষ্ঠায় চার কলাম জুড়ে প্রধান শিরোনাম হয়েছে এই খবর। রিপোর্টে বলা হয়, পতাকা বৈঠকের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা বিএসএফকে গু'লি করেছে এবং এতে এক জওয়ান নিহ'ত হয়েছে।

বিএসএফকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন রকম উ'স্কা'নি ছাড়াই গু'লি ছোঁড়া হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভারতের তিনজন জেলে মাছ ধরার সময় পদ্মানদীর সীমান্ত পেরিয়ে মাছ ধরার জন্য বাংলাদেশে ঢুকেছিল।

প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে মুর্শিদাবাদের অনেক এলাকায় নদীতে সীমান্ত পিলার দৃশ্যমান নয়। ফলে ধারণার উপর ভিত্তি করে সীমান্ত ধরে নেয় জেলেরা। সেজন্য বিভিন্ন সময় ভারত এবং বাংলাদেশের জেলেরা নদীর মাঝখানে সীমান্ত অতিক্রম করে।

কলকাতার সবার্ধিক পঠিত পত্রিকা আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে, "পদ্মার বুকে গু'লি, মৃ'ত্যু জওয়ানের।" পত্রিকাটি তাদের প্রথম পাতায় উপরের দিকে বেশ গুরুত্বের সাথে এই সংবাদটি পরিবেশন করেছে।

বিএসএফকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার লিখেছে, "আ'টক হওয়ার পরে মৎস্যজীবীরা বলেছিলেন যে, ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষীদের অনুমতি নিয়েই পদ্মার ওই অংশে মাছ ধরতে এসেছেন তারা। শুনে বিজিবির জওয়ানেরা প্রণবকে আ'টকে রেখে অন্য দু'জনকে বলেন, ''তোরা বিএসএফকে ডেকে আন। তার পরে ওকে ছাড়ব।''

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কারও এভাবে মৃ'ত্যুর নজির স্মরণকালে নেই বলে উল্লেখ করে আনন্দবাজার পত্রিকা। বিএসএফকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি বলেছে, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্ত-রক্ষীরা ভারতীয় জেলেকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিএসএফ সদস্যদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে।

পরিস্থিতির অবনতি আঁচ করে বিএসএফ সদস্যরা যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন বিজিবি গু'লি ছোঁড়ে বলে উল্লেখ করে এনডিটিভি। কলকাতার বাংলা দৈনিক 'এই সময়' তাদের প্রথম পাতায় এই সংবাদটিকে স্থান দিয়ে শিরোনাম করেছে, "বাংলাদেশের গু'লিতে হ'ত এক জওয়ান।"

এই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, গু'লি চালানো ছাড়াও বিজিবি এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে জোর করে আ'টকে রেখেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক ভারতীয় মন্তব্য করেছে। এদের মধ্যে অনেকে ক্ষু'ব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

অভ্রদীপ দত্ত নামে একজন টুইট করেছেন, "পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি কিভাবে গু'লি করার সাহস পেল? বাংলাদেশীদের সমস্যা কোথায়?" হরিশ চৌহান টুইটারে লিখেছেন, "বাংলাদেশকে কঠিন শিক্ষা দেবার সময় এসেছে। নরেন্দ্র মোদী স্যার চুপ কেন?"

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিক টুইট করেছেন, "দুই পক্ষের দিক থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। বিজয় ভান সিং-এর আ'ত্মত্যা'গের জন্য স্যালুট।" সূত্র : বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে