শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ০২:৪৪:৩১

মন্দির ভেবে একবছর ধরে শৌচাগারকে প্রণাম করছে গ্রামবাসী!

মন্দির ভেবে একবছর ধরে শৌচাগারকে প্রণাম করছে গ্রামবাসী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভবনের দেয়ালে গেরুয়া রঙ দেখেই তাকে মন্দির ভেবে বসেছেন গ্রামবাসীরা। এরপরই সেই গেরুয়া ভবনকে ঘিরে চলে উপাসনা। এভাবে গ্রামবাসীদের অনেকেই এক বছর ধরে সেই ভবনকে প্রণাম করতে থাকেন। কিন্তু পরে জানা গেল, গেরুয়া ভবনটি আসলে কোনো মন্দির নয়; একটি তালাবদ্ধ শৌচাগার! এমন সংবাদ জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সম্প্রতি এমন অবাক করা ঘটনাই ঘটে আসছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মৌদহ গ্রামে। গত এক বছর ধরে দরজা বন্ধ একটি গেরুয়া রঙের শৌচাগারকে মন্দির ভেবে প্রণাম করে আসছিলেন তারা।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টাইমস জানিয়েছে, ভারতসহ বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর টনক নড়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। তারা ইতিমধ্যে গেরুয়া রঙ মুছে দিয়ে এখন গোলাপী রঙ লাগিয়েছেন সেই শৌচাগারে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামের অধিবাসীরা মনে করেন গেরুয়া রঙ শুধুমাত্র মন্দির নির্মাণের বেলায় প্রযোজ্য। আর সেই বিশ্বাস থেকে রাস্তার পাশেই থাকা এই ঘরকে মন্দির ভেবে সম্মান করে আসছিলেন তারা। ঘরটির ভেতরে কি রয়েছে তা দেখার ব্যবস্থাও ছিল না। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এর দরজায় তালা ঝুলছিল। তাই রং যখন গেরুয়া, তখন দেয়ালের ওপারে নিশ্চয়ই কোনো দেবতা স্থাপিত হয়েছে। এমনটাই ভাবনা ছিল গ্রামবাসীদের। তাই বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে প্রণাম করেন তারা। পাশ কেটে চলে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে প্রার্থনাও করতে দেখা গেছে অনেককে।

তাই বলে শৌচাগারকে মন্দির ভাবা হলো? এমন প্রশ্নের বর্ণনায় স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ চান্দেল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই ওই ঘরটি অবস্থিত। শুধু দেয়ালে রঙ গেরুয়া বলেই ধোকায় পড়েননি গ্রামবাসীরা, ঘরটির ওপরের অংশও দেখতে মন্দিরের মতো। তাই বাসিন্দারা বন্ধ এই ঘরকে মন্দির ভেবে নিয়েছেন।

জানা গেছে, এক বছর আগে থেকে ভারতে চলমান স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অংশ হিসেবে এ শৌচাগারটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু তা শুরু করার আগেই বন্ধ করে দিতে হয়। গ্রামবাসীদের অনেকেই সে সময় জানতেও পারেননি যে এটি একটি শৌচাগার।

এ বিষয়ে মৌদহ নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রাম কিশোর বলেন, নগর পালিকা পরিষদ এই শৌচাগারটি তৈরি করেছিল। কনট্রাক্টর এটি গেরুয়া রং করে দেয়। আর তখন থেকেই এমন গুরুতর ভুলটি করতে থাকে গ্রামবাসী।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে