আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ভারত তোলপাড় করা হায়দরাবাদের ধ'র্ষ'ণের ঘটনায় এই চার অভিযুক্তকে শুক্রবার সকালে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। এটা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে পুরোভারতে।
দৃশ্য ১: ‘আমি জানি না তারা কি কাজ করেছিল। আমার ছেলে চলে গিয়েছে! অবশ্যই এটা ভুল হয়েছে। আমার ছেলে চলে গিয়েছে। আমি কথা বলার অবস্থায় নেই।’ আরিফের এ'নকা'উ'ন্টারে মৃ'ত্যুর খবর পেয়ে এমনই প্র'তি'ক্রি'য়া দিয়েছেন তার মা।
দৃশ্য ২: ‘স্যার, যদি আমার ছেলে অ'ন্যা'য় করেছে বলে প্রমাণিত হয় তাহলে দয়া করে গুলি করুন।’ এই প্র'তি'ক্রি'য়া ছিল দ্বিতীয় অ'ভিযু'ক্ত শিবার মায়ের। তবে শিবার বাবা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র এই ঘটনার অ'ভিযু'ক্তদের শা'স্তি দেওয়া হচ্ছে? বাকিদেরও একইভাবে শা'স্তি দেওয়া উচিত। কেন তাদের ক্ষেত্রে সেটা হবে না?
দৃশ্য ৩: নবীনের বাবার আর্জি, এ'নকা'উ'ন্টারের আগে জেলে থাকা ছেলেদের সঙ্গে পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া উচিত ছিল। ‘আমরা আগেই বলেছিলাম তাদের মে'রে ফেলা উচিত জেলে রাখার পরিবর্তে। কিন্তু তাদের মে'রে ফেলার আগে, আমাদের একবার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল দেখতে দেওয়ার।’
দৃশ্য ৪: ‘যদি আমার ছেলে অ'পরা'ধ করে থাকে, তাকেও পুড়িয়ে মা'রু'ন। আমার ছেলে এখানে বড় বিষয় নয়। অ'ন্যা'য়টা অ'ন্যা'য়।’ অভিযুক্ত চেন্নাকাসাভলুর মায়ের এই প্রতিক্রিয়া হলেও তার স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কিন্তু ভিন্ন। স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘বিয়ের এক বছরের মধ্যে সে আমায় ছেড়ে চলে যায়। দয়া করে আমাকে ঘ'ট'না'স্থ'লে নিয়ে চলুন যেখানে তাকে গু'লি করে মা'রা হয়েছে। এবং আমাকেও গু'লি করে মা'রা হোক। আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত তোলপাড় করা ধ'র্ষ'ণের ঘটনায় এই চার অভিযুক্তকে এ'নকা'উ'ন্টার করা হয়েছে শুক্রবার। পশু চিকিৎসক যুবতীকে হায়দরাবাদের টোল প্লাজার অদূরে রাতের অ'ন্ধ'কা'রে একা পেয়ে গ'ণধ'র্ষ'ণ করে পু'ড়ি'য়ে মে'রেছিল এই চারজন। যা নিয়ে গোটা ভারত উ'ত্তা'ল হয়ে ওঠে। সংসদে তোলপাড় করা হয়েছিল ঘটনাটি নিয়ে। সূত্র: আজকাল