বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:০৩:৪৮

গাম্বিয়ার করা 'রোহিঙ্গা গণহ'ত্যা' মামলার রায়ে মিয়ানমারকে যে সব আদেশ দিলেন আদালত

গাম্বিয়ার করা 'রোহিঙ্গা গণহ'ত্যা' মামলার রায়ে মিয়ানমারকে যে সব আদেশ দিলেন আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখাইনে এখন যে রোহিঙ্গারা আছেন, তাদেরকে সুর'ক্ষা দেয়ার জন্য মিয়ানমারকে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছে নেদারল্যাডন্সের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় কিছুক্ষণ আগে ঘোষণা করা অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে এই আদেশ দেয়া হয়।

সেইসঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যেকোন নিরা'পত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বি'রুদ্ধে যেন কোন গ'ণহ'ত্যায় না জ'ড়ায়, উ'ষ্কা'নি না দেয়, কিংবা নি'র্যা'তনের চেষ্টা না করে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে নির্দে'শ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সুর'ক্ষা দেয়ার জন মিয়ানমারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো আগামি চার মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
এরপর এই মামলার নি'ষ্প'ত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পর পর আদালতকে জানাতে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হ'ত্যা, ধ'র্ষ'ণ ও অ'গ্নিসং'যোগের মু'খে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পা'লি'য়ে আসে। এই নৃশং'সতাকে গণহ'ত্যা আ'খ্যা দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত বছরের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার শুনানি চলে। ১০ ডিসেম্বর গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দল আদালতে গ'ণহ'ত্যার বিষয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে।

শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে মামলার প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির বিচারমন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদু। পরদিন ১১ ডিসেম্বর মিয়ানমারের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের সরকার প্রধান অং সান সু চি। সেখানে তিনি তার দেশের বি'রুদ্ধে আনা গ'ণহ'ত্যার অ'ভিযো'গ অ'স্বী'কার করেন। ১২ই ডিসেম্বর মামলার শুনানি শেষ হয়। দ্য হেগ শহরে এই শুনানিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। ওই দলে কক্সবাজারে আ'শ্র'য় নেয়া রোহিঙ্গাদের তিনজন প্রতিনিধিও ছিলেন।

গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদু বলেন '''রোহিঙ্গাদের বি'রু'দ্ধে সাম'রিক বাহিনী এবং বেসা'মরিক বাসিন্দারা সং'গঠি'ত হা'মলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর পু'ড়িয়ে দিচ্ছে, মায়ের কোল থেকে শিশুদের ছি'নি'য়ে নিয়ে জ্ব'ল'ন্ত আ'গুনে ছুঁ'ড়ে মা'রছে, পুরুষদের ধ'রে ধ'রে মে'রে ফেলছে, মেয়েদের ধ'র্ষ'ণ করছে এবং সবরকমের যৌ'ন নি'র্যা'তন করছে।''

একে ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডা গ'ণহ'ত্যার সঙ্গে তুলনা দিয়ে তিনি বলেন, 'রোয়ান্ডায় টুটসিদের ওপর যেরকম অ'পরা'ধ করা হয়েছিল, এটা সেরকমই মনে হচ্ছিল। এখানে সেই একই রকম গ'ণহ'ত্যার সব বৈশিষ্ট্যই রয়েছে। রোহিঙ্গা জা'তিগো'ষ্ঠীকে চিরতরে ধ্বং'স করার জন্য এটা মিয়ানমারের সরকারের একটা চেষ্টা।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে