আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ওইদিন দিল্লির রামলীলা ময়দানে সকাল ১০টায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন কেজরি। শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও।
দলের সিনিয়র নেতা গোপাল রাই শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন ''এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। দিল্লির সাতজন বিজেপি সাংসদ এবং সদ্য বিজয়ী নতুন আট বিজেপি বিধায়ককেও এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।''
আর মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জ'ল্পনা। কারণ এই শপথগ্রহণে থাকছেন না দেশটির অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গোপাল রাই জানান, ''অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে ফের বিশ্বাস রেখেছেন। তাই সেই সাধারণ দিল্লিবাসীর সামনেই কেজরিওয়াল শপথ নেবেন।''
দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের আগেই আপ'এর প্রার্থীদেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছিলেন মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে। আপ নেতা কেজরির সাথে দলের প্রধান মমতা ব্যনার্জিরও সম্পর্ক ভালো। কিন্তু তারপরও দলের নেত্রী আমন্ত্রণ না পাওয়ায় হ'তা'শ দলের হা'ইক'মান্ড।
ফলে আপ'এর পক্ষ থেকে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো কি শুধুই রাজনৈতিক সৌজ'ন্যতা, নাকি এর পি'ছনে কোন রাজনৈতিক স'মী'ক'রণ রয়েছে- তা নিয়ে জ'ল্প'না তুঙ্গে। বিশ্লে'ষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাথে সবচেয়ে বড় বিশ্বা'স'ঘা'ত'কতা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।