মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০১:২৫:৫০

পাল্টে গেছে আইএস বধূ শামীমা বেগম, বোরকার বাইরে প্রথম ছবি!

পাল্টে গেছে আইএস বধূ শামীমা বেগম, বোরকার বাইরে প্রথম ছবি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার পর অনেকটাই পাল্টে গেছে আইসিস বধূ হিসেবে পরিচিত শামীমা বেগম! প্রথমবারের মতো সে আইসিসের প্রচলিত কালো বোরকা ত্যাগ করেছে। সিরিয়ার আল রোজ শর'ণার্থী ক্যাম্পে বোরকার বাইরে এসে প্রথমবারের মতো ছবি তুলেছে। এবার ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নিজের আশ্রয় বা মেক-শিফটকে সাজিয়েছিল ভালোবাসার রঙে। 

পরেছে জিন্সের প্যান্ট। পায়ে উঠেছে ওয়েস্টার্ন জুতা। মাথায় লাল হেড স্কার্ফ। আর নাক চকচক করছে। তার ওপর আরো জ্বল জ্বল করছে ডায়মন্ডের নাকফুল। শামীমাকে নিয়ে সচিত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। তাতেই এসব কথা বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, এভাবে মাথায় লাল হেডস্কার্ফ, পরনে জিন্স আর ডায়মন্ডের নাকফুল পরে শামীমাকে দেখা যেতে পারতো ইংল্যান্ডের লিভিং রুমে। কিন্তু সে নিজেই সব শেষ করে দিয়েছে।

যোগ দিয়েছে আইসিসে। তারপরের কাহিনী সবারই জানা। ১৫ বছর বয়সে সে স্কুল পা'লিয়ে যোগ দিয়েছিল আইসিসে। এখন তার বয়স ২০ বছর। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আল রোজ শর'ণা'র্থী শিবিরে এখন বসবাস করে মার্কিন বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক কিম্বারলি পলম্যানের সঙ্গে। নতুন করে তারা তাদের আশ্র'য়শি'বিরের তাঁবুকে সা'জিয়েছে। ভালোবাসা দিবসে নতুন করে ভালোবাসার রঙে সাজিয়েছে তা। 

এদিন তারা ভালোবাসার চিহ্ন হার্টস দিয়ে সাজায় তাঁবু। আর ভেতরে যোগ করে রূপকথার মতো করে লাইটিং। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো প্রথমবারের মতো তারা কালো বোরকার বাইরে এসেছে। এই শর'ণার্থী ক্যাম্পে এই কালো বোরকা নি'ষি'দ্ধ। কারণ, নারী ও শিশুদের উ'গ্রবা'দ থেকে বের করে আনার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিম্বারলিকে নিয়ে শামীমা যে তাঁবুতে থাকে সেখানে আছে হিটিং, ইলেকট্রিসিটি, স্যাটেলাইট টিভি এবং রান্নার জিনিসপত্র। 

জাতিসংঘ তাদেরকে কম্বল দিয়েছে। সেই কম্বল ব্যবহার করে তারা তাঁবুতে বানিয়েছে একটি ছোট্ট সোফা। বৃটেনের পতাকা ব্যবহার করে বানানো একটি কুশন রয়েছে শামীমা বেগমের। এটি তাকে বানিয়ে দিয়েছে তাঁবুতে তার সঙ্গে থাকা কিম্বারলি। তাঁবুতে আছে ভালোবাসা নিয়ে লেখা কবিতা। তাতে ঝুলছে উৎসাহমূলক উদ্ধৃতি।

ডেইলি মেইল আরো লিখেছে, ৫ বছর আগে ১৫ বছর বয়সে অন্য দুই স্কুলছাত্রী খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে শামীমা বেগম পাড়ি জমায় সিরিয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে যোগ দেয় আইসিসে। সিরিয়া পৌঁছার মাত্র ১০ দিন পরেই শামীমা বিয়ে করে ডাচ্‌ নাগরিক ইয়াগো রিডিজককে। তখন ইয়াগোর বয়স ছিল ২৩ বছর। এর আগে ইয়াগো ধর্মা'ন্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। তাকে আ'টকে রাখা হয়েছে কুর্দিদের একটি ব'ন্দিশি'বিরে। 

গত বছর শর'ণার্থী শিবিরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয় শামীমা। আগের দুটি সন্তানের মতো এই সন্তানটিও মা'রা যায়। ওই সময়ের আগেই সে বৃটেনে ফেরার আবেদন জানায়। কিন্তু সরকার তার সেই দাবি প্র'ত্যা'খ্যা'ন করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ মাসে আরো একটি বড় আ'ঘা'ত আসে ২০ বছর বয়সী শামীমার জন্য। সে নাগরিকত্ব কে'ড়ে নেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বি'রু'দ্ধে আপিল করে। সেই আপিলের প্রথম দফায় হে'রে যান শামীমা। 

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজকে সে বলেছে, গত বছর যখন তার নাগরিকত্ব কে'ড়ে নেয়া হলো তখন পুরো পৃথিবী তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছে। আদালত রুলে বলেছে, শামীমার নাগরিকত্ব কে'ড়ে নেয়া যেতে পারে। কারণ, এতে তিনি রা'ষ্ট্রহী'ন হয়ে পড়বেন না। এ অবস্থায় তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাওয়ার কথা বলা হয়। কারণ, তিনি বাংলাদেশি পিতা-মাতার সন্তান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে