মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৯:৪৫:৩১

ভ'য়াব'হ রু'প নিয়েছে দিল্লী, সহিং'সতায় নিহ'ত ১০ : দেখা মাত্র গু'লির নির্দে'শ

ভ'য়াব'হ রু'প নিয়েছে দিল্লী, সহিং'সতায় নিহ'ত ১০ : দেখা মাত্র গু'লির নির্দে'শ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরু'দ্ধে সহিং'স বিক্ষো'ভে এ পর্যন্ত একজন পুলিশ সহ অন্তত ১০ জন নিহ'ত হয়েছে। ওই আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ সংঘ'র্ষে আহ'ত হয়েছে শতাধিক লোক। ক্রম'শ আয়'ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থি'তি। এই অবস্থায় নজি'রবিহীন নির্দে'শ দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। 

ইন্ডিয়া টুডে'তে প্রকাশিত খবর খবর মোতাবেক, 'উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দেখা মাত্র গু'লি করার নি'র্দে'শ দেওয়া হয়েছে।' দিল্লিতে গত কয়েক দশকে এরকম সহিং'সতা আর দেখা যায়নি বলে বলছেন অনেকে। উত্তর পূর্ব দিল্লির বহু বাড়িঘর ও দোকানপাটে আগু'ন দেয়া হয়েছে এবং কিছু এলাকা সহিং'সতার ফলে যু'দ্ধক্ষে'ত্রের চেহা'রা নিয়েছে। ভারতের রাজনীতিবিদরা শান্তি বজায় রাখার আহ্বা'ন জানাচ্ছেন। 

ওই এলাকায় মঙ্গলবার সারাদিন ছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা সালমান রবি। ঘট'নাস্থল থেকে তিনি সবিস্তা'রে এই সহিং'সতার বর্ণনা দিয়েছেন, "আমি যে জায়গায় আছি সেটির নাম জাফরাবাদ। আমার একদিকে সংশো'ধিত নাগরিকত্ব আইন বিরো'ধী বি'ক্ষো'ভকারীরা, আরেকদিকে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থকরা। এই দুয়ের মাঝখানে আমি। পাথর ছোঁ'ড়া হচ্ছে, পেট্রোল বো'মা ছোঁ'ড়া হচ্ছে। কিছু গাড়িতে আ'গুন ধ'রিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থি'তি খুবই উত্তে'জনাপূর্ণ।

দশজন মা'রা যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। দেড়শোর বেশি মানুষ আহ'ত। আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। জাফরাবাদের পেছনে একটা জায়গা আছে চান্দবাগ, মোস্তফাবাগ। সেখানে রাস্তায় নাকি উ'ন্ম'ত্ত জনতা ঘু'রে বেড়াচ্ছে। সেখানে নাকি পুলিশ আর আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বৈঠক হয়েছে। তারপর মনে হচ্ছে নিরা'পত্তা কিছুটা বা'ড়ানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও পরি'স্থিতি এখনো খুবই উত্তে'জনাপূর্ণ।

ব'ন্দু'ক-পি'স্ত'ল নিয়ে উ'ন্ম'ত্ত জনতা বাইরে বে'রিয়েছে, গু'লি চালিয়েছে। আজও বেশ কয়েকজন গু'লিবি'দ্ধ হয়েছে। অনেকের হাতেই র'ড বা লা'ঠি, যার যা আছে তাই নিয়ে বে'রিয়ে পড়েছে। দোকানগুলো সব ব'ন্ধ। যোগাযাগ ব'ন্ধ। রাস্তাগুলোতে ব্যারি'কেড দেয়া হয়েছে। সেসব এলাকায় কেউ ঢু'কতে পারছে না। গতকালও দিল্লির যেসব গো'লযো'গপূর্ণ এলাকায় গিয়েছিলাম, আজকে সেখানে যেতেই পারছি না।

সেখানে জনতা খুবই উত্তে'জিত। তারা সাংবাদিকদের ওপরও হা'মলা করছে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভে'ঙ্গে দিচ্ছে, মোবাইল ফোন কে'ড়ে নিচ্ছে। এখানে এখন একদম দা'ঙ্গার মতো পরি'স্থিতি বিরাজ করছে। এসব গ'ণ্ডগো'ল যে কেবল রাস্তায় হচ্ছে তা নয়, জনতা কখনো কখনো লোকের বাড়িঘরেও ঢু'কে পড়ছে। অনেক জায়গায় দোকানপাটেও আ'গুন লা'গানো হয়েছে। 

আমরা সাংবাদিকরা সেখানে যেতে পারছি না, কারণ জনতা সাং'ঘা'তিক স'হিং'স। সাংবাদিকদের ওরা ভিডিও রেক'র্ড করতে দিচ্ছে না। পুলিশ দা'বি করছে যে জনতার ভেতর থেকেই গু'লিব'র্ষণের ঘট'নাগুলো ঘটছে। পুলিশ কোথাও গু'লি চালানোর কথা এখনো নি'শ্চিত করেনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বি'ত'র্ক আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও ছ'ড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, দা'ঙ্গা'কারীদের সঙ্গে পুলিশ দাঁ'ড়িয়ে আছে।

তবে দিল্লি পুলিশের যেসব উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়, তারা দা'বি করছেন, পরি'স্থি'তি তারা নিয়'ন্ত্র'ণের চে'ষ্টা করছেন, পরি'স্থিতি নিয়'ন্ত্র'ণে আছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা এখানে কিন্তু দেখছি না যে পরি'স্থিতি পুলিশের নিয়'ন্ত্র'ণে। কিছু ধর্মীয় স্থা'পনাও হা'মলার শি'কার হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করছেন এই বলে যে তারা বিভিন্ন জায়গায় আ'টকে পড়েছেন, তাদের যেন উ'দ্ধার করা হয়।"

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে