বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১২:১৫:১৫

শয্যাসঙ্গী করে গোপনে ভিডিও, মা-মেয়ের টাকা আদায়ের অভিনব পন্থা

শয্যাসঙ্গী করে গোপনে ভিডিও, মা-মেয়ের টাকা আদায়ের অভিনব পন্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হলদিয়ার ঝিকুড়খালিতে জোড়া খু'নের রহ'স্যের জট আরও জড়িয়ে পাকিয়ে যাচ্ছে। নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা রিয়া দে (২২) ও তার মা রমা দে-কে (৪০) পরিকল্পনা করেই হলদিয়ায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মূল অ'ভিযু'ক্ত হলদিয়ার ঠিকাদার শেখ সাদ্দাম হুসেন, এ ব্যাপারে নি'শ্চি'ত পুলিশ। এমনকি রিয়ার সঙ্গে সাদ্দামের সম্পর্ক ছিল সেই তথ্যও উঠে এসেছে ত'দ'ন্তে। 

সাদ্দাম ও এলাকাবাসীদের জে'রা করে পুলিশের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই সাদ্দামকে ব্ল্যা'ক'মেল করছিল রিয়া ও তার মা রমা। রিয়া ও সাদ্দামের ঘনি'ষ্ঠ কিছু ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলেও জে'রায় জানিয়েছে সাদ্দাম। এই ব্ল্যা'কমে'লিংয়ের কারণে অতী'ষ্ঠ হয়েই কি মা-মেয়েকে হলদিয়ায় ডেকে এনে জী'ব'ন্ত পু'ড়িয়ে মা'রা হয়, সেটা খ'তিয়ে দেখছেন তদ'ন্তকারীরা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুড়খালি এলাকায় দু'জনকে আ'গু'নে দা'উদা'উ করে পুড়তে দেখে আ'ত'ঙ্কে শি'উরে উঠেছিল এলাকার বাসিন্দারা। জল ঢেলে আ'গু'ন নেভানোর পরে দুটি দেহাংশ, পোশাকের কিছু অংশ এবং মাথার চুলের বেঁচে যাওয়া টু'করো দেখে পুলিশ অনুমান করেছিল, দ'গ্ধ দু'জনেই মহিলা। তাদের পরিচয় উ'দ্ধা'রের চে'ষ্টা করে ব্য'র্থ হয় পুলিশ। এরপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই মৃ'ত মহিলার পোশাক ও চুলের বর্ণনা দিয়ে পরিচয় খোঁ'জার চেষ্টা করা হয় জেলা পুলিশের তরফ থেকে। পরে জানা যায়, মৃত দুই মহিলার নাম রিয়া ও রমা, তারা নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা।

নিউ ব্যারাকপুর কালীবাড়ির কাছে নরেশ চন্দ্র সরণিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রিয়া ও রমা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রমা বিবা'হবি'চ্ছি'ন্না। তার পেশার ব্যাপারেও কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। নিউ ব্যারাকপুরের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে রিয়া। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, স্কুল থেকে তা'ড়িয়ে দেওয়া হয় রিয়াকে। এলাকায় তাদের সুনাম ছিল না, তবে মা-মেয়েকে এভাবে জী'ব'ন্ত পু'ড়িয়ে মা'রার ঘটনায় অ'পরা'ধীদের ক'ড়া শা'স্তি চেয়েছেন স্থানীয়রা।

হলদিয়ার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, জো'ড়া খু'নের ত'দ'ন্তে নেমে পুলিশ শেখ মনজুর বলে একজনকে আ'টক করেছিল প্রথমে। পুলিশের জে'রায় মনজুর সব স্বী'কার করে। পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও তিন জন জ'ড়িত। তাদের মধ্যে মূল অ'ভিযু'ক্ত শেখ সাদ্দাম হুসেনকেও আ'টক করে পুলিশ। দু'জনেরই বাড়ি হলদিয়া এলাকায়। হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দে'শ দেয়।

জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়শা দে নামে প্রোফাইল তৈরি করেছিল রিয়া। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ সাদ্দামের। রিয়াকে বিয়ে করার প্র'তিশ্রু'তিও নাকি দিয়েছিল সে। সাদ্দামের দাবি, রিয়া ও তার কিছু ঘ'নি'ষ্ট মু'হূর্তের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে তাকে ব্ল্যা'কমে'ল করতে শুরু করেছিল রিয়ার মা রমা। কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল তার কাছে। সেই ব্ল্যা'কমে'ল থেকে রে'হাই চাইছিল সে।

তদ'ন্তকারীদের অনুমান, রী'তি'মতো পরিক'ল্পনা করে, আঁট'ঘাট বেঁধে মা রমা এবং মেয়ে রিয়াকে কলকাতা থেকে হলদিয়ায় ডেকে নেন শেখ সাদ্দাম হোসেন। দুর্গাচক হাসপাতাল রোডের একটি বাড়িতে রিয়া ও রমার থাকার ব্যবস্থা করেছিল সে। অনুমান, রাতে খাওয়ার সঙ্গে মা'দ'ক জাতীয় কিছু মি'শিয়ে দিয়ে মা-মেয়েকে বে'হুঁ'শ করে ঝিকুড়খালির নি'র্জ'ন নদীর পাড়ে নিয়ে ভোররাতে সেখানেই মা-মেয়েকে জী'ব'ন্ত পু'ড়িয়ে মা'রার চে'ষ্টা হয়। সকালে স্থানীয়রা নদীর পাড়ে গিয়ে দু'টি দেহ জ্ব'লতে দেখেন। অ'চৈ'তন্য অবস্থাতেই অ'গ্নিদ'গ্ধ হয়ে মৃ'ত্যু হয় দু'জনের। সূত্র : দ্য ওয়াল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে