আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা আতঙ্ক কাঁপছে চারদিক। এই মার'ণ ভাইরাসের কালো থাবা থেকে বাঁচতে লকডাউনে ভারত। করোনা আতঙ্ক পেয়ে বসেছে দেশটির অনেক নাগরিককে। কেউ একটু অসুস্থ হলেই কিংবা শারীরিক কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে, অথবা কারো মৃ'ত্যু হলেও, নেপথ্যে 'করোনা'কে দায়ী করা হচ্ছে।
ভারতে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা রবিশংকরের ক্ষেত্রেও এরকমটাই হয়েছে। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃ'ত্যু হয় সেই তার। প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন করোনা সং'ক্রমণের জেরেই হয়তো মৃ'ত্যু হয়েছে রবিশংকরের। তাই শেষ দেখাটুকুও কেউ দেখতে আসেননি। পাড়া-প্রতিবেশী তো আসেনই-নি। এমনকী আত্মীয়-স্বজনরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন অসহায়, শোকাহ'ত পরিবারটির কাছ থেকে। তাহলে, সত্কার কী করে হবে? চিন্তায় পড়ে যান রবিশংকরের পরিবার। কারণ শ্মশান পর্যন্ত কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ারও যে কেউ নেই!
এদিকে আবার রবিশংকরের পাড়ার পাশেই রয়েছে মুসলিম অধুষ্যিত এক এলাকা। খবর জানাজানি হতেই, একদল মুসলিম যুবক তত্ক্ষণাত্ চলে আসেন মৃ'ত হিন্দু বৃদ্ধর বাড়িতে। জানতে পারেন, কাঁধ দেওয়ার কিংবা সত্কার করার কেউ নেই।
অসহায় পরিবারের চ'রম বিপদ দেখে ওই মুসলিম যুবকরাই তার পরিবারকে আশ্বাস দেন যে, সত্কারের সমস্ত ব্যবস্থা তারাই করবেন। মাথায় ফেজ টুপি, আর মুসলিম যুবকদের মুখে তখন 'রামনাম সত্য হ্যায়' ধ্বনি। কাঁধে করে শ্মশান অবধি নিয়ে রবিশংকরের সত্কারের ব্যবস্থাও তারাই করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভি'ডিওই এখন ভাই'রাল।