শনিবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪০:৩৯

নতুন এক ওষুধের খবর দিল একদল বিজ্ঞানী, ৪৮ ঘণ্টায় ম'রবে করোনাভাইরাস

নতুন এক ওষুধের খবর দিল একদল বিজ্ঞানী, ৪৮ ঘণ্টায় ম'রবে করোনাভাইরাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মো'কাবিলায় ও এর প্র'তিষেধক আবিষ্কারে বিশ্বের ডাক্তার-গবেষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এ সময়ে একটি সুখবর দিয়েছে একদল বিজ্ঞানী। কারণ তারা তাদের গবেষণায় এমন একটি ওষুধ পেয়েছেন যা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মে'রে ফেলতে সক্ষম। আর সে ওষুধটি বিভিন্ন দেশে উৎপাদন করা হচ্ছে। ওষুধটি মূলত অ্যান্টি-প্যারসিটিক বা পরজীবীনাশী।

মালয়েশিয়ার মোনাশ বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইনস্টিটিউট ও অস্ট্রেলিয়ার ডোহেরটি ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশন অ্যান্ড ইম্যুনিটির যৌথ গবেষণায় এ ওষুধের খোঁজ মিলেছে। গবেষক দলের প্রধান ড. কেলি ওয়াগস্টাফ এক বিবৃতিতে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানান।

ড. কেলি বলেন, ‘গবেষণাকালে আমরা দেখতে পেয়েছি, অ্যান্টি-প্যারসিটিক ওষুধ ইভারমেকটিন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্স-করোনাভাইরাস-২-এর কোষের বৃদ্ধি থামিয়ে দিয়েছে। এমনকি মাত্র এক ডোজ ওষুধও ওই সময়ের মধ্যে সব ভাই'রাল রিবাউন্সেলিক এসিড (আরএনএ, যেখানে সব জীবিত কোষ থাকে) কার্যকরভাবে দূর করতে পেরেছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় তা কমিয়ে ফেলতে পেরেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ পরীক্ষা আমরা শুধু গবেষণাগারেই করেছি। কোনো প্রাণীদে'হে বা মানুষের শরীরে তা পরীক্ষা করা হয়নি। এখন আমরা প্রাণীদেহে এর পরীক্ষা চালাব। সেখানে ইতিবাচক ফল এলে ও নিরাপদ প্রমাণিত হলে আমরা যত দ্রুত সম্ভব আমরা মানবদে'হের জন্য ডোজ নির্ধারণ করে দেব।’

ড. কেলি আরও বলেন, ‘ইভারমেকটিন নিরাপদ ওষুধ হিসেবে সারা বিশ্বেই অনুমোদিত। এটি এইচআইভি, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও জিকা ভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ বিশেষজ্ঞদের একটি দল করোনাভাইরাসের টিকা ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

তারা বলছেন, টিকাটি প্রয়োগের পর ইঁদুরের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এখন এটি তারা মানবদেহে প্রয়োগ করতে চান। চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য উঠে আসে।

লানসেটে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও পিটসবার্গ মেডিকেল সেন্টার যৌথভাবে এ গবেষণাটি চালায়। আর তারা টিকাটির নাম দিয়েছেন ‘পিটকোভ্যাক’। গবেষক দলটি নতুন করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) জিন বিন্যাসে দেখতে পান এটি ২০০৩ সালে ছড়ানো সার্স-করোনাভাইরাস ও ২০১৪ সালে ছড়ানো মার্স করোনাভাইরাসের মতোই। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তারা কোভিড-১৯-এর টিকা উৎপাদনে মনোযোগ দেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে