সোমবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:৪৭:৪০

লকডাউনে খাবার নেই, খিদে পেটে থালা হাতে রাস্তা অবরো'ধ!

লকডাউনে খাবার নেই, খিদে পেটে থালা হাতে রাস্তা অবরো'ধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লকডাউনে ঘরে খাবার নেই। তাই খাবারের দাবিতে রাস্তা অবরো'ধের নামলেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা এলাকার পিফা তেঁতুলতলার ঘটনায় রাস্তার উপরেই বড়সড় জমায়েত। সামাজিক দূরত্বের বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে, ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিক্ষো'ভে শামিল সকলে। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশের হ'স্তক্ষেপে উঠল বিক্ষো'ভ।

করোনা সং'ক্রমণ ঠে'কাতে দেশজুড়ে লকডাউন। সব বন্ধ। প্রশাসনিক নির্দে'শমতো, এই সময়ে কেউ যাতে অভু'ক্ত না থাকে, তার দায়িত্ব নিতে হবে প্রতিটি রাজ্যের সরকারকে। প্রয়োজনে সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিতে হবে। বাংলায় সেই কাজই চলছে বৃহত্তর পরিসরে। পঞ্চায়েত, ব্লক স্তর থেকে জেলা পুলিশ পর্যন্ত এই কাজে শামিল। তা সত্ত্বেও বসিরহাটের পিফা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী পাননি বলে অভিযোগ।

আর সেই অভিযোগে সরব হয়েই সোমবার লকডাউন উপেক্ষা করে সকলে বেরিয়ে এসেছেন বাড়ি থেকে। খাবারের দাবিতে মালঞ্চ রোডের উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরো'ধ করা হয়। বিক্ষো'ভকারীদের হাতে পোস্টার। তাতে লেখা – 'দিনমজুররা খাবে কী?', 'অবিলম্বে খাদ্যের ব্যবস্থা করা হোক।' বাসিন্দাদের অভিযো'গ, প্রায় দিন পনেরো ধরে লকডাউনের জে'রে কাজ বন্ধ বাড়ির পুরুষদের। ঘরে কোনও খাবার নেই। 

এক মহিলার অভিযোগ, ''১৫ দিন হল বাড়ির লোকের কাজ নেই, বাজার করতে পারছি না। একটু চাল ফুটিয়ে ফ্যান দিয়ে খাব, সেই চালও নেই ঘরে। পঞ্চায়েত থেকে কোনও সুবিধা পাচ্ছি না। তাই আজ নিরুপায় হয়ে খাদ্যের সন্ধানে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে হচ্ছে। তবে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে কোনও প্রতিনিধি জানান যে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'' প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অ'বরু'দ্ধ হয়ে থাকে রাস্তা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবরো'ধ তুলে নেন তারা। তবে দাবি একটাই, দু'বেলা দু'মুঠো খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে