আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিরো’ধী দলের তিন এমপিকে আ'টক করেছে তুরস্ক। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নি'ন্দার মুখে পড়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সরকার। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বিরো'ধী দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে মুছে ফেলতেই তাদের এমপিদের ওপর এমন দ'ম'ন পী'ড়ন চালানো হচ্ছে।
এ খবর দিয়েছে দ্যা গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পূর্বে তাদের পার্লামেন্টের সদস্যপদ বা'তিল করা হয়েছে। তাদের বি'রু'দ্ধে কথিত গু'প্তচ'রবৃত্তি ও সন্ত্রা'সবাদের অভিযো'গ আনা হয়েছে। এ নিয়ে পার্লামেন্টে উত্তে'জনাপূর্ন একটি অধিবেশন চলে বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে একজনকে গ্রে'প্তার করা হয় ইস্তাম্বুল থেকে। অপর দুজনকে কারাগারে নেয়া হয় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিয়ারবকর থেকে।
তাদের বি'রু'দ্ধে কুর্দিদের হয়ে তুরস্ক সরকারের বি'রু'দ্ধে ষ'ড়য'ন্ত্রের অভিযো'গ আনা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আবারো জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সেক্যুলার বিরো'ধী দল সিএইচপি এ গ্রেপ্তারের নি'ন্দা জানিয়েছে। এর নেতা কামাল কিলিকদারুগলু বলেন, এই গ্রেপ্তার বিরো'ধীদের দ'মনে এরদোগান সরকারের আরেকটি কালো অধ্যায়। কিন্তু আমরা এই সরকারের হাত থেকে তুরস্কের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে ও ন্যায়বিচার টিকিয়ে রাখতে ল'ড়াই জারি রাখবো।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত চার বছর ধ'রে এরদোগান সরকার বিভিন্ন আইনকে ব্যবহার করে তার বিরো'ধীদের ওপর দ'ম'ন-পী'ড়ণ অব্যাহত রেখেছেন। হাজার হাজার রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবি ও বুদ্ধিজীবিকে নানা অযু'হাতে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এ সময়ে। দ'ম'ন-পীড়ন থেকে বাদ যায়নি সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও। ধর্মীয় নেতা গুলেন ও তার অনুসারীদের টা'র্গে'ট করে করে আ'টক করেছে এরদোগান সরকার।