রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০, ১০:৩৩:৪৭

চীন ভারতের ভেতরে ঢুকছে, আগেই জানান লাদাখের রাজনৈতিক নেতারা

চীন ভারতের ভেতরে ঢুকছে, আগেই জানান লাদাখের রাজনৈতিক নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে চীনা সেনার সঙ্গে সং'ঘ'র্ষে ২০ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহ'ত হন। চীনের একটি তাবু সরানোকে কেন্দ্র করে বিবা'দের সূ'ত্রপা'ত বলে জানা যায়। দফায় দফায় ৫ ঘণ্টার ল'ড়া'ইয়ে প্রাণ হা'রান এক কর্নেলসহ ওইসব ভারতীয় সেনারা। কিন্তু এলাকার মানুষজনের বক্তব্য এই সং'ঘা'ত একদিন হতোই। 

কারণ চীনা সেনা বহুদিন ধ'রে প্রকৃত নিয়'ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকছে। এলাকার লোকদের শা'সা'চ্ছিল। লাদাখে প্রকৃত নিয়'ন্ত্রণ রেখার কাছ ঘেঁ'সে রয়েছে নোয়মা গ্রাম। এটি প্যাংগং লেক থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। নোয়মা ব্লক ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান উরগেন শোডন। লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল হওয়ার পর তিনি বিজেপির টিকিটে কাউন্সিল প্রধান হয়েছেন।

১৫ জুন গালওয়ানে সং'ঘ'র্ষ হওয়ার আগেই তিনি একাধিক ফেসবুক পোস্ট করে চীনা সেনার ভারতীয় ভূখ'ণ্ডে ঢুকে পড়ার কথা প্রচার করেন। গত ১১ জুন তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই ওই পোস্ট তিনি করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, চীনা সেনারা প্রকৃত নিয়'ন্ত্রণ রেখা থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে নোয়মা ব্লকের ঢোলা গ্রামে এসেছে। সেখানে তারা চীনা পতাকা তুলেছে। 

এলাকার মানুষদের সেখানে ভারত, তিব্বত ও বৌদ্ধ পতাকা তুলতে বা'ধা দিচ্ছে। অন্য একটি পোস্টে উরগেন শোডন লেখেন, গ্রামের মানুষদের চীনা সেনারা ওই এলাকা পশু চ'রাতে বা'ধা দিচ্ছে। কারণ ওই এলাকা নাকি চীনের। শোডন এক ইংরেজি সংবাদমাধ্য়কে জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়, ২০১৫ সাল থেকে বিষয়টি আমি তুলে আসছি। গত এপ্রিল মাসে এলাকায় ৩০০-৩৫০ চীনা সেনার গাড়ি দেখেছিলাম।

তা ফেসবুকে লিখেওছিলাম। কিন্তু আমাকে বলা হয় ওইসব পোস্ট এলাকায় আত'ঙ্ক ছড়াচ্ছে। ফলে তা ডি'লিট করে দিই। লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের কাউন্সিলর ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে চুমুল, নোয়মা ব্লকের ডেমচোক, চুসুলে চীনা পতাকা তোলা নিয়ে ছোটখানে বিবা'দ লেগেই রয়েছে। কিন্তু মিটেও যায়।

এলাকার বিজেপি নেতারাই নয়, কংগ্রেস নেতারাও দাবি করেছেন, এলাকায় চীন সেনার উপস্থিতি বেড়েই চলেছে। কাউন্সিলের প্রাক্তন প্রধান রিগজিন সালবার জানিয়েছেন, ২০১৩  সালে ডেমচোকে একটি ক্যানালের উদ্বোধন করা হয়েছিল। পরে সেটি দ'খল করে নেয় চীনা সেনা। এলাকার পশুচারণ ভূমিও দ'খল করে নিয়েছে চীনা সেনা।

প্য়াংগং লেক থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ফোবরাং গ্রাম। সেখানকার মানুষদের অ'ভিযো'গ, আগে এলএসির কাছাকাছি গ্রিন টপ এলাকা পর্যন্ত ভেড়া চরাতে যেতে পারতাম। কিন্তু চীন সেনারা বা'ধা দিতে লাগল। তাই এখন ওখানে যেতে পারি না। এলাকার নেতাদের দাবি, বিষয়টি তারা এলাকার সাংসদকে পর্যন্ত বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। 

তাংসি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা থাসি নামগাল বলেন, প্রতি বছর চীন একটু একটু করে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত এগিয়ে আসছে। লাদাখ কাউন্সিলের কাছে জানানো হয়েছিল কীভাবে চীনা সেনারা এগিয়ে আসছে। আমাদের পশুচারণে বা'ধা দিচ্ছে। বিষয়টি জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিককেও বলা হয়। কিন্তু কিছুই হয়নি। সূত্র : জি নিউজ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে