মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০, ১২:২০:৫১

এক ইমামের আন্দো'লনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যা'গ, চ্যালে'ঞ্জের মুখে প্রেসিডেন্ট!

এক ইমামের আন্দো'লনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যা'গ, চ্যালে'ঞ্জের মুখে প্রেসিডেন্ট!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ মালিতে করোনা ভাইরাসের ভ'য় দূরে ফেলেই রাস্তায় বি'ক্ষো'ভ করছে এক দল মানুষ। তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইটার প'দত্যা'গ চান। তার বি'রু'দ্ধে দুর্নী'তি ও স্বজনপ্রী'তির ক'থি'ত অ'ভিযো'গ এনেছেন বি'ক্ষু'ব্ধরা। একইসঙ্গে বি'ক্ষো'ভকারীদের অ'ভিযো'গ, দেশটিতে জিহা'দিদের সহিং'সতা ব'ন্ধেও সরকার ব্য'র্থ হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, আন্দো'লনের সঙ্গে এরইমধ্যে যোগ দিয়েছে দেশটির বিরো'ধী দলগুলোও। সরকারকে চা'পে ফেলতে একসঙ্গে সবাই মিলে রাস্তায় জড়ো করেছে হাজার হাজার মানুষ। তবে এই সব মানুষ কোনো রাজনৈতিক আহবানে রাস্তায় নামেনি। তাদেরকে রাস্তায় নামাতে যিনি সবথেকে বেশি ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন দেশটির একজন ইমাম মাহমুদ ডিকো।

ক্ষ'মতা নি'শ্চিতে তাই কেইটা ও তার মন্ত্রী পরিষদকে এই ইমামের সঙ্গে দর ক'ষাক'ষি করতে হচ্ছে। ডিকোকে বলা হচ্ছে দরিদ্র এ দেশটির চলমান উত্তে'জনার প্রধান খেলোয়ার। বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল দেশটির অর্থনীতি। জ'ঙ্গিবাদ থেকে র'ক্ষায় সেখানে নিয়োজিত আছে ১৫ হাজারের বেশি বিদেশি সেনা। তবে অন্য সব দরিদ্র মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মতো এখানেও ধর্মীয় নেতাদের দা'পট দেখা যায়। 

গত এক দশক ধ'রে দেশটিতে প্রভা'বশালী হয়ে উঠেছেন ডিকো। তবে এই প্রথম তার আহবানে রাস্তায় নেমে এসেছে হাজারো মানুষ। ২০১৯ সালে তার অনুসারীরা আন্দো'লন করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সুমিলো বোবে মাইগাকে প'দত্যা'গে বা'ধ্য করে। গত ৫ জুন শুক্রবারের নামাজের পর থেকে আবারো রাস্তায় নেমে আসে ডিকোর অনুসারীরা। বামাকো ও সিকাসো শহরে তারা আন্দো'লন চালিয়ে যায়।

তবে দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন শহরে ডিকোর অনুসারীরা আন্দো'লন শুরু করে। এখনো এই আন্দো'লন বড় হয়েই চলেছে। ফলে ডিকো এখন তার ক্ষ'মতাকে দর ক'ষাক'ষির অ'স্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিরো'ধী দলগুলোর সঙ্গেও সমঝোতা করেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার কেইটা সরকারের প্রতিনিধি দল বিরো'ধীদলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে। এর আগে তারা ইমাম ডিকোর সঙ্গেও কথা বলেন। কারণ, দেশটিতে এখন বিরো'ধী দলের থেকেও বেশি ক্ষ'মতাধর হয়ে উঠেছেন এই ইমাম।

চ'র'ম দরিদ্র দেশটিতে শিক্ষার হার মাত্র ৩৫ শতাংশ। ফলে দ্রুতই ডিকোর অনুসারী সংখ্যা বাড়তে থাকে। র'ক্ষণশীল সমাজের সমর্থন কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিজের প্রভা'ব বিস্তার করতে থাকেন ডিকো। তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন ২০০৯ সালে। নারীদের অধিকার নি'শ্চিতে এ বছর নতুন আইন প্রণয়ন করে মালির সরকার। তবে ডিকো ও তার অনুসারীরা দেশব্যাপী এর বি'রু'দ্ধে আন্দো'লন গড়ে তোলে। তাদের আন্দো'লনের প্রেক্ষিতে সরকার শেষ পর্যন্ত এটি বা'তিলে বা'ধ্য হয়।

তবে বিবিসি জানিয়েছে, র'ক্ষণশীল হলেও ইমাম ডিকো তী'ব্র জিহা'দবিরো'ধী। একইসঙ্গে ধর্মীয় কারণে কারো ওপর নির্যা'তনের বি'রু'দ্ধেও তিনি। ইসলামপ'ন্থী জিহা'দিরা যখন ২০১২ সালে উত্তর মালি দ'খ'ল করে নেয় তখন তিনি জিহাদিদের বি'রু'দ্ধে অবস্থান নেন। ২০১৩ সালে ফরাসি সেনারা মালিতে প্রবেশ করলে তিনি তাদেরকে স্বাগত জানান। তিনি ঘোষণা করেন, ফ্রান্সের সেনারা মালির অধিবাসীদের র'ক্ষা করতে এসেছে। এরপর ফ্রান্সের সেনারা দ্রুতই ওই অঞ্চলকে জিহা'দিমু'ক্ত করতে সক্ষম হয়। সূত্র : বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে