আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিদিনই লা'ফিয়ে লা'ফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রা'ন্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনায় আক্রা'ন্তের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১ কোটি ৯০ লাখ ছা'ড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃ'ত্যু হয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষের।এই পরিস্থি'তিতে করোনাভাইরাস সম্পর্কে নতুন ত'থ্য সামনে আ'নলেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।
মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক ব্রিটেন ও আমেরিকার প্রায় ১,৬০০ জন করোনা রো'গীকে নিয়ে সমী'ক্ষা চা'লান। এই ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হওয়ার পর থেকে ৮-১০ দিন পর্যবে'ক্ষণের পর রো'গীদের থেকে পাওয়া ত'থ্য বিশ্লে'ষণ করে ছয় রকমের করোনাভাইরাসের অ'স্তি'ত্বের সন্ধা'ন পেয়েছেন ব্রিটিশ গবেষকরা!
গবেষকদের দা'বি, ছয় রকমের করোনাভাইরাসের উপস'র্গগুলিও ভিন্ন ভিন্ন ধ'রনের। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ৬ রকমের করোনাভাইরাস ও সেগুলির নানা উপস'র্গ সম্পর্কে কী বলছেন ব্রিটিশ গবেষকরা...
প্রথম: এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্তদের মধ্যে গা, হাত-পা ব্য'থা, গলা ব্য'থা, মাথা য'ন্ত্র'ণা, ঘ্রাণশ'ক্তি হা'রানো, সর্দি-কাশির মতো উপস'র্গগুলি পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে এবং জ্বর তিন দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
দ্বিতীয়: এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রা'ন্তদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। জ্বর না থাকলেও গা, হাত-পা ব্য'থা, গলা ব্য'থা, মাথা য'ন্ত্র'ণা, ঘ্রাণশ'ক্তি হা'রানো, সর্দি মতো উপস'র্গগুলি দেখা যায় আক্রা'ন্তদের মধ্যে।
তৃতীয়: এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্তদের মধ্যে দু’-তিন দিন ধ'রে পেটে ব্য'থা, পেট কা'মড়ানো বা মো'চড় দেওয়া, ডায়েরিয়া, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, গলা ব্য'থা, মাথা য'ন্ত্র'ণার মতো সম'স্যা দেখা দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রা'ন্তদের মধ্যে জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো সম'স্যাগুলি থাকে না।
চতুর্থ: এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রা'ন্তদের মধ্যে গলা ব্য'থা, মাথা য'ন্ত্রণা, ঘ্রাণশ'ক্তি হা'রানো, সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লা'ন্তি ও অবস'ন্ন ভাব ল'ক্ষ্য করা যায়।
পঞ্চম: এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্তদের মধ্যে গলা ব্য'থা, মাথা য'ন্ত্র'ণা, ঘ্রাণশ'ক্তি হা'রানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, সারাক্ষণ ক্লা'ন্তি ও অবস'ন্ন ভাব, চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে বি'ভ্রা'ন্তির মতো সমস্যা ল'ক্ষ্য করা যায়। এর সঙ্গে সামান্য জ্বরও থাকে।
ষষ্ঠ: এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রা'ন্তদের মধ্যে গলা ব্য'থা, মাথা য'ন্ত্র'ণা, ঘ্রাণশ'ক্তি হা'রানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, পেটে ব্য'থা, ডায়েরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি শ্বাস-প্র'শ্বাসের সম'স্যাও ল'ক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রু'ত কমতে থাকে। সূত্র: জিনিউজ।