মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:২৫:৪২

করোনার ভ'য়ে যে শহরের সব চিকিৎসক পা'লিয়ে গেছেন, পা'লাননি শুধু ডা. জোহা

করোনার ভ'য়ে যে শহরের সব চিকিৎসক পা'লিয়ে গেছেন, পা'লাননি শুধু ডা. জোহা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধ'রে চলা গৃ'হযু'দ্ধে ইয়েমেন বি'পর্য'স্ত। করোনা ভাইরাস প্রতিরো'ধে দেশটির সরকার কোনো পদক্ষে'পই নেয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে যখন করোনা ভাইরাস ম'রামা'রির চূ'ড়া'ন্ত তা'ণ্ড'ব চ'লছিল, সেই সময়ে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার শহর আদেনে চালু ছিল মাত্র একটি মাত্র হাসপাতাল।

কোভিড-১৯-এর ভ'য়ে এবং বলতে গেলে কোনো ব্যক্তিগত সুর'ক্ষা সর'ঞ্জামই (পিপিই) না থাকায় শুধু একজন ছাড়া সব চিকিৎসকই নিজেদের গু'টিয়ে নিয়েছিলেন চিকিৎসা সেবা থেকে। শহর থেকে স'রে পড়েছিলেন নিরা'পদ আ'শ্র'য়ে।করোনা ভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত রো'গীদের চিকিৎসা সেবা দিতে স্বে'চ্ছা'য় ওই শহরে থেকে যাওয়া সেই একমাত্র চিকিৎসকের নাম ডা. জোহা।

ইয়েমেনে করোনাভাইরাস ছ'ড়িয়ে পড়ার প্রায় ছয় মাস পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক স'ম্প্র'চার মাধ্যম হিসেবে বিবিসি দেশটিতে পৌঁছায় এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে।বিবিসি'র এক প্রতিবে'দনে উ'ঠে এসেছে ডা. জোহার সেই সাহ'সী গল্প।করোনা ভাইরাস বাস্তবতা নিয়ে আদেন শহরের অধিবাসী আবদুল করিম বলেন, আমি খে'য়াল করলাম, আমার বাবা বেশ নি'স্তে'জ হয়ে পড়ছেন। ভাবলাম, হয়তো স্বাভাবিক ঠা'ণ্ডা-জ্ব'রের কারণেই।

বাবা আলীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন করিম। এক্সরে করে জানানো হলো, আলীর বুকে বাজে রকমের ই'নফে'কশ'ন হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ই'নটে'নশি'ভ কেয়ারের (আই'সিইউ) দরকার ছিল। কিন্তু চিকিৎসক সা'ফ জানিয়ে দিলেন, মু'মূ'র্ষু ওই বৃদ্ধকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা, করোনাভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার ভ'য়ে হাসপাতালে এ ধরনের রো'গী ভর্তি করানো হয় না। 

বাবাকে নিয়ে শহরের পাঁচটি হাসপাতালে ছু'টেছিলেন করিম। কিন্তু চিকিৎসা করাতে রা'জি হয়নি কেউই। করোনাভাইরাসের ভ'য় ও পিপিই না থাকায় বেশির ভাগ চিকিৎসকই শহর ছে'ড়ে পা'লি'য়েছিলেন। আর হাসপাতালগুলো ব'ন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পা'লাননি শুধু ডা. জোহা।

বাবার চিকিৎসকের খোঁ'জে এক সপ্তাহ অ'সহা'য় সময় কা'টানোর পর ডা. জোহার স'ন্ধা'ন পান করিম।জোহা বলেন, তিনি (করিম) বললেন, তার বাবা মা'রা যাচ্ছেন, আমি যেন তাকে হাসপাতালের ভেতরে ঢু'কতে দিই। আমি বললাম, এখানে কোনো শয্যা নেই। অ'ক্সি'জেন নেই।
করিমের বাবার অব'স্থা শো'চ'নীয় ছিল। তিনি নিঃ'শ্বাস নিতে পারছিলেন না। 

ড. জোহা বলেন, করিম চি'ৎকার করছিলেন, 'আমার বাবা মা'রা যাচ্ছে, ডাক্তার, প্লিজ!’ ওই রো'গীকে হাসপাতালে ঢু'কিয়ে মুখে অ'ক্সি'জেন মা'স্ক দেওয়া ছা'ড়া আমার আর উপায় ছিল না।
এর ১৫ মিনিট পর অবশ্য মা'রা যান আলী। তবু ল'ড়াই চা'লিয়ে যান ডা. জোহা। কোভিড-১৯ আ'ক্রা'ন্ত রো'গীদের সেবা দিতে নিজেকে প্র'স্তু'ত রাখেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে