মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:১৭:৩২

করোনা টিকা হালাল বা শরীয়াভিত্তিক হবে কিনা জানালেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

করোনা টিকা হালাল বা শরীয়াভিত্তিক হবে কিনা জানালেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামি আইন অনুযায়ী করোনা ভ্যাকসিন বৈধ বা হালাল হবে কিনা-এ প্রশ্নে উ'দ্বি'গ্ন সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা। সোমবার জনগণের উদ্বে'গের বিষয়টি আমলে নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো মন্ত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে তা'ড়াহু'ড়ো না করে স'ত'র্ক হয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, ''সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকিসন হালাল হওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের যে ভাবনা, আমাদের অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়া ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে বি'ত'র্ক উঠে।'' ভ্যাকসিন ইসলামিনীতি মেনে তৈরি হয় কি না? এটি সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগ শরীয়াভিত্তিক কি না?

তখন ইন্দোনেশিয়ার ওলেমা কাউন্সিল এক ফতোয়ায় জানান, হামের টিকার হা'রা'ম বা ইসলামে নি'ষি'দ্ধ। ''ভ্যাকসিন হালাল হওয়া, দাম, গুণগত মান এবং পরিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশা'সনকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হবে,'' বলেন উইদোদো।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের ভ্যাকসিনের উপাদান সম্পর্কে অভিহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ আমিন বলেন, প্রয়োগের আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ভ্যাকসিনের হালাল সার্টিফিকেট নেয়া হবে। আগামী মাস থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে ইন্দোনেশিয়া। এর আওতায় আসবে ৯১ লাখ মানুষ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাপরিচালক আচমাদ ইউরিয়ান্তো জানান, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ সুপারভাইজরি এজেন্সি জরুরি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলেই এ কার্যকম শুরু হবে। তিনটি কোম্পানির ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে ইন্দোনেশিয়া। সেগুলো হলো ক্যাসিনো, জি-৪২/সিনোফার্মা এবং সিনোভ্যাক।

কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিন তিনটির ক্লি'নিক্যা'ল ট্রয়ালের তৃতীয় ধা'প চলছে। একইসঙ্গে জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জুলাইতে জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য চীন সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে ক্যাসিনো, জি-৪২/সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক।

ইন্দোনেশিয়ার সরকার বর্তমানে ভ্যাকসিনের হালাল সার্টিফিকেটের জন্য দেশটির ওলেমা কাউন্সিলের দিকেও তাকিয়ে আছে। করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গু'রু'ত্ব দেয়া হবে। ইউরিয়ান্তোর বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ১৬ কোটি মানুষের হার্ড ইমিউনিটি তৈরিতে ৩২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে