শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১৯:৩৭

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সুদানে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সুদানে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সঙ্গে সুদান সরকারের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। এই চুক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সুদানের বিরোধী দলগুলো। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভ করেছে দেশটির শত শত নাগরিক। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পর শুক্রবার ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সুদানের এক যৌথ বিবৃতিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের পিঠে নতুন আরেকটি ছুরিকাঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিনিরা।

সুদানের পপুলার কংগ্রেস পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এই চুক্তি মেনে নিতে দেশের জনগণ বাধ্য নয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি এই গোপন চুক্তি থেকে আমাদের জনগণকে পদ্ধতিগত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তারা এই চুক্তি মানতে বাধ্য নয়। আমাদের জনগণ তাদের ঐতিহিাসিক অবস্থান মেনে চলবে আর এই স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি প্রতিহত করতে একটি বৃহত্তর ঐক্যের মধ্য দিয়ে কাজ করবে আর  আইনসঙ্গত অধিকার রক্ষায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।‘

সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদিও ওই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছেন। চুক্তির প্রতিবাদে সরকার আয়োজিত শনিবারের একটি ধর্মীয় সম্মেলন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

সুদানের পপুলার কংগ্রেস পার্টির আরেক নেতা কামাল ওমর পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত নয় আর সেকারণে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা তাদের নেই। তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাকে খুশি করতে সুদানের অবস্থান ছিনতাই করেছে।
খার্তুমের রাজপথে সমবেত বিক্ষোভকারীরাও দখলদারদের সঙ্গে শান্তি নয় বলে স্লোগান দেয়। আত্মসমর্পণ করবো না, ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবো বলেও স্লোগান দেয় তারা।

বিক্ষোভের জেরে সেনা হস্তক্ষেপে গত বছরের আগস্টে ওমর আল বশির নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর সুদানের ক্ষমতায় আসে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওই সরকার দায়িত্ব নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা দেশগুলোর তালিকা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়াকে শীর্ষ অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসে। গত সোমবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করলে খার্তুমকে ওই তালিকা থেকে সরানো হবে। এরপরেই ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখতে পান অনেকেই।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে